Telangana: নির্বাচনের আগে কেসিআর-এর দলে বড় ভাঙন, কংগ্রেসে যোগ প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ ৩৫ নেতার

35 BRS leaders join Congress: কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সোমবার, কংগ্রেসে যোগ দিলেন ৩৫ জন বিআরএস নেতা। তাঁদের মধ্যে আছেন, প্রাক্তন সাংসদ পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জুপল্লী কৃষ্ণ রাও।

Telangana: নির্বাচনের আগে কেসিআর-এর দলে বড় ভাঙন, কংগ্রেসে যোগ প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ ৩৫ নেতার
খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং জুপল্লী কৃষ্ণ রাও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2023 | 9:22 PM

হায়দরাবাদ: চলতি বছরের শেষেই তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার (২৬ জুন), জোর ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। বিআরএস-এর প্রাক্তন নেতা পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জুপল্লী ীকৃষ্ণ রাওয়ের নেতৃত্বে ৩৫ জন বড় মারেক নেতা এদিন যোগ দিলেন কংগ্রেসে। হায়দরাবাদে এআইসিসি-র কার্যালয়ে এসে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে হাত শিবিরে যোগ দেন কেসিআর-এর দলের এই নেতারা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল এবং কংগ্রেসের তেলঙ্গানা শাখার সভাপতি এ রেবন্ত রেড্ডিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে তেলঙ্গানার খাম্মামে একটি বড় জনসভা করবে কংগ্রেস সেই সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদান করানো হবে বিআরএস-এর এই প্রাক্তন নেতাদের। সেই জনসভায় উপস্থিত থাকতে পারেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

প্রসঙ্গত, পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডি খাম্মামের প্রাক্তন সাংসদ। ২০১৪ সালে এই আসন থেকে টিআরএস (বর্তমানে বিআরএস)-এর টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালে পরাজিত হন। অন্যদিকে, জুপল্লী কৃষ্ণা রাও অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা – দুই রাজ্য়েই মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। বিধায়ক হিসেবে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাই, রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষিতে এই দলবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যে এক ধাক্কায় কংগ্রেসের শক্তি অনেকটাই বাড়ল। খাম্মামের সভায় বিআরএস দলের আরও কয়েকজন নেতা কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের এক সূত্র। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে জানিয়েছেন, এদিনের দলবদল থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তেলঙ্গানায় পরবর্তী সরকার গঠন করবে কংগ্রেসই। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “তেলঙ্গানার বড় নেতাদের একটি গোটা দল আজ কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এতে অবশ্যই কংগ্রেস দল বাড়তি উত্সাহ পাবে। তেলঙ্গানায় পরিবর্তনের হাওয়া দেখা যাচ্ছে। এটা তারই একটা লক্ষণ।”

প্রসঙ্গত, একটা সময় বিজেপির যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ দল ছিল টিআরএস বা বিআরএস। তবে, রাজ্যে ক্রমে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধিতে চাপে পড়েছিল কেসিআর-এর দল। এরপরই, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। দলকে জাতীয় আঙ্গিকে তুলে নিয়ে যেতে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নাম বদলে করা হয়, ভারত রাষ্ট্র সমিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরীবালদের মতো কয়েকজন বিজেপি এবং কংগ্রেস বিরোধী নেতার সঙ্গে জোট গড়ার বিষয়েও আলোচনা করেছিলেন কেসিআর। কিন্তু, তারপরও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁকে বিশ্বস্ত শক্তি হিসেবে মানতে পারেনি বিরোধীরা। পটনায় গত সপ্তাহেই বিরোধীদের যে মহাবৈঠক হয়েছে, সেখানে বিআরএস-কে ডাকা হয়নি। এর দিনকয়েক পরই, শিবির বদলালেন শ্রীনিবাস রেড্ডি, কৃষ্ণ রাওদের মতো নেতারা।