Manik Saha Tripura: ত্রিপুরায় ফিরছে মানিক ‘সরকার’-ই, ডাক্তারবাবুতেই আস্থা বিজেপির
Manik Saha Tripura: সব জল্পনার অবসান। ত্রিপুরায় ফিরছে মানিক সাহা সরকারই।
আগরতলা: সব জল্পনার অবসান। ত্রিপুরায় ফিরছে মানিক সাহা সরকারই। সোমবার (৬ মার্চ), ত্রিপুরায় বিজেপির নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠকে তাঁকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হল। এই পদের জন্য আলোচনায় ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের নামও। তবে, শেষ পর্যন্ত মানিক সাহাকেই সর্বসম্মতভাবে বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বেছে নিলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। কাজেই তিনিই ফের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। ২০২২ সালের মে মাসে, বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র মাস দশেক আগে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে এই পদে আনা হয়েছিল মানিক সাহাকে। এবারের নির্বাচনও তাঁকে সামনে রেখেই লড়েছিল বিজেপি। বিজেপি-আইপিএফটি জোট ৩৩টি আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে।
বুধবার (৮ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা শপথগ্রহণ করবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ত্রিপুরার থেকে রাজ্যসভার একমাত্র সদস্য ছিলেন মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর টাউন বড়দোয়ালি আসন থেকে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও মানিক সাহা ৮০০ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেসের আশীষ কুমারকে পরাজিত করেছেন।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও। বর্তমানে দেশে একজন মাত্র মহিলা মন্ত্রী আছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিমা ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রী হলে, দেশ দ্বিতীয় মহিলা মুখ্য়মন্ত্রী পেতে পারত। সেই সঙ্গে মানিক সাহার বিপরীতে প্রতিমা ভৌমিক একেবারে মাঠে নেমে সংগঠন করা লোক। কিন্তু, বিপ্লব কুমার দেবের বদলে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে যেভাবে বিজেপির রিব্র্যান্ডিং করা হয়েছিল, ভোটে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই, ৭০ বছর বয়সী ডাক্তারবাবুকেই রাজ্যের শীর্ষ পদে রেখে দিল গেরুয়া শিবির।
ত্রিপুরায় ব্যাপক জয়ের পর মানিক সাহা জানিয়েছেন, ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে বিজেপি। মানিক সাহা বলেন, “বিজেপির জয় প্রত্যাশিত ছিল। আমরা অধীর আগ্রহে এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের দায়িত্ব এখন বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথেই আমরা হাঁটব।”