Rajib Banerjee Exclusive: ত্রিপুরায় খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল, কারণ ব্যাখ্যা করে ‘শূন্য’ থেকে শুরুর বার্তা রাজীবের
Tripura Elections: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কিছু ভুলের কথা। কী সেই ভুল? এবার সেগুলি খোলসা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগরতলা: ত্রিপুরার ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। টিলার রাজ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বিকেলেই টিভি নাইন বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোটে খুব একটা ভাল ফল হবে না তৃণমূলের। বলেছিলেন, দু’একটি আসনে হয়ত লড়াই দিতে পারবে। এবার নির্বাচনী ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর আবারও টিভি নাইন বাংলায় মুখ খুললেন রাজীববাবু। তাঁর মতে ভোট দ্বিমুখী হয়েছে। বলছেন, ‘মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছে। কোথাও তিপ্রা মথা, আবার কোথাও বাম-কংগ্রেস জোট।’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কিছু ভুলের কথা। কী সেই ভুল? এবার সেগুলি খোলসা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মতে, ত্রিপুরায় তৃণমূল সেই অর্থে নির্বাচনে লড়ার জন্য কোনও মুখ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তৃণমূলের মুখ অবশ্যই। জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ত্রিপুরায় গিয়ে ভোটে লড়বেন না। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে নির্বাচনের মুখ হিসেবে কাকে তুলে ধরা হবে, সেই নিয়ে একটি সমস্যা ছিল। তাঁর কথায়, বিজেপি শিবিরে যেমন নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন, তেমন রাজ্যের মুখ হিসেবে মানিক সাহাও রয়েছে। রাজীব বললেন, ‘মানিক সাহাকে সামনে রেখে বিজেপি নির্বাচনে লড়েছে। বাম-কংগ্রেসও জোট করে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে সামনে রেখে লড়েছে। দুই জনকেই সবাই চিনত, সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল। এই জায়গায় তৃণমূল যখন শুরু করেছিল, তখন একটি দুর্বলতা ছিল।’
এছাড়া সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও কিছু দুর্বলতার কথা স্বীকার করছেন তিনি। বললেন, ‘যাঁদেরই সভাপতি মনোনয়ন করা হয়েছিল, তাঁরা হয়ত দলকে বুথভিত্তিক স্তর পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম ছিলেন না। সেই সাংগঠনিক দুর্বলতা একটা ছিলই। আমরা বাইরে থেকে এসে সাপোর্ট দিতে পারি। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্ব যদি নিজেদের দক্ষতায় ভাল সংগঠন তৈরি করতে না পারে, তাহলে সমস্যা হয়। সেই কারণেই আমরা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম।’
রাজীববাবুর কথায়, ‘মে মাসে সভাপতি মনোনয়ন করা হয়েছিল। এদিকে অগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকেই সবাই বুঝে গিয়েছিল, এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। আর আমরা সময়টাই নষ্ট করে ফেলেছি নভেম্বর অবধি। বুথে বুথে সংগঠনই গড়ে তোলা যায়নি মে মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত।’
তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে আবার নতুন করবে ত্রিপুরায়, সেই কথাও জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করব।’ তিনি এখনও বিশ্বাসী, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দিতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস ও তিপ্রা মথার উপর বিশ্বাস করে যে কোনও লাভ হয়নি, সেই কথাও মানুষ বুঝে গিয়েছে বলে জানান তিনি। রাজীব জানালেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বার্তা দিয়েছেন, যেন লড়াইয়ের ময়দান না ছাড়া হয়।