Panchayat Election 2023: ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ, মাথা ফাটল আত্মীয়ার
Allegation of attack on BJP: অভিযোগ, ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয়া বেজো সোরেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। মাথায় সেলাই পড়েছে।
ঝাড়গ্রাম: বাংলায় ভোট (Panchayat Election 2023) মানেই কি অশান্তি? হামলা আর পাল্টা হামলা? রাজ্যের একের পর এক ঘটনায় এমন প্রশ্ন কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। শাসক-বিরোধী সব পক্ষেরই রক্ত ঝরছে মনোনয়ন পর্বেই। রাজ্যপাল কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারপরও কি সামাল দেওয়া যাচ্ছে পরিস্থিতি? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের এক ঘটনা। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের তপসিয়ায় ৩৫ নম্বর বুথে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন সুনীল সোরেন। অভিযোগ, ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয়া বেজো সোরেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। মাথায় সেলাই পড়েছে।
শুধু তাই নয়, ঘটনার খবর পেয়ে যখন এলাকার অন্য কয়েকজন বিজেপি কর্মী দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে যায়, তখন তাঁদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেলিয়াবেড়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। দলীয় প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত পাকড়াও করার দাবি তুলেছে পদ্ম শিবির। একইসঙ্গে এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেই নিয়েও পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আজ ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমও তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, এই আসনটিতে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কোনও লড়াই হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই আসনটি জিতে নিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও প্রার্থীর উপর হামলা করা হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, শাসক শিবির এলাকায় ভোটের আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক ইস্যুই নয়। গোটা বিষয়টি পারিবারিক বিবাদ বলেই দাবি তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবির বলছে, ওই আসনে আগের বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তারা। এবারও এলাকা থেকে প্রার্থী না পেয়ে বাইরে থেকে প্রার্থী এনে সেখানে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। শাসক শিবিরকে ‘কলঙ্কিত’ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি তাদের।