Riddhi Sen: ‘না, চাঁদ কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে না’, চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে কী বললেন ঋদ্ধি সেন
Vital Post: সমাজের যে কোনও বিষয়ই আলোকপাত করতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এই চাঁদ কারও নয়।
চাঁদ এবার হাতের মুঠোয়। বুধবার চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রম পা রাখা মাত্রই চাঁদকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, একটা সময় ছিল যখন বলা হতো চাঁদ মামা দূরে, এখন বলতে চাঁদ মামা এক ট্যির কি বাত হ্যায়। অর্থাৎ এক সফরে পৌঁছে যাওয়া যাবে চাঁদের দেশে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে যখন গোটা দেশ উৎসব মুখোর, ঠিক তখনই এক অন্য ছবি ধরা দিল রাজনৈতিক মহলে। প্রত্যেকের চোখে মুখে একটাই লক্ষ্য, রাজনীতি। কেউ বলছেন এই জয় কেন্দ্রের, কেউ বলছেন এই জয়ের ভবিষ্যৎবাণী করে গিয়েছিলেন নেহেরু। চাঁদ সাফল্য পলকে যেন রঙিন হয়ে উঠল রাজনৈতিক রঙে। আর এই বিষয়টা নজর এড়ালো না কারও। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিত হয়ে এই চর্চার প্রতিবাদ করতে দেখা গেল ঋদ্ধি সেনকে। বরাবরই ঋদ্ধি বেশ স্পষ্টবাদী। সমাজের যে কোনও বিষয়ই আলোকপাত করতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এই চাঁদ কারও নয়।
কী লিখলেন তিনি তাঁর সোশ্যাল পোস্টে?
”না , চাঁদ আজকে আপনার হাতে না , আমার হাতে না , কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে না, বিজ্ঞানীদের হাতেও না , চাঁদ মহাকাশের। তবে আজকের চন্দ্রপ্রভায় আলোকিত হবে বিজ্ঞানীদের চেষ্টা, দূরদর্শিতা এবং দক্ষতা, আর অমাবস্যার ভাগিদার হবে শুধুই রাজনৈতিক দলগুলি, ঠিক আগেরমতোই তাঁরা থাকবে অন্ধকারেই। ভারতবর্ষ বা কোনও দেশ, কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়, তাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গর্বিত হওয়ার সংজ্ঞাটার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আবেগ জুড়বেন না। বিজ্ঞান কোনও রাজনৈতিক আদর্শ মেনে অগ্রগামী হয় না , চাঁদও চেনে না লাল, সবুজ , গেরুয়া পতাকার রং , তাই গর্বিত বোধ করি আমাদের দেশের কিছু মুক্ত চিন্তার মানুষদের জন্যে ,যাঁরা মহাকাশের সব রং সমান ভাবে দেখেন।”