Protein: মাংস নয়, ডাল খেলে মিটবে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি, জানাচ্ছে নতুন গবেষণা
Bone Health: কোন খাবার খেলে দেহে প্রোটিন ঘাটতি মিটবে এবং কোন খাবার শরীরের জন্য ভাল এ নিয়ে সম্প্রতি হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, রেড মিটের বদলে ডাল জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
প্রোটিন আমাদের দেহের অপরিহার্য পুষ্টি। সমস্ত শারীরিক কার্যকলাপ যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য প্রোটিন দরকার। এই পুষ্টি মাংসপেশি গঠনে, কাজ করার শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। প্রোটিনের ঘাটতি হাড়ের সমস্যা ডেকে আনে। এমনকী ওজন কমাতে গেলেও আপনাকে প্রোটিন খাদ্যতালিকায় রাখতে হয়। সবসময় বলা হয় যে, প্রাণীজ খাবারে প্রোটিনের মাত্রা বেশি রয়েছে। ডিম, মুরগির মাংসে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন মেলে রেড মিট অর্থাৎ খাসির মাংসতেও। কিন্তু সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপর জোর দেওয়া দরকার। কারণ রেড মিটের চেয়ে ডাল জাতীয় খাবার অনেক বেশি নিরাপদ।
কোন খাবার খেলে দেহে প্রোটিন ঘাটতি মিটবে এবং কোন খাবার শরীরের জন্য ভাল এ নিয়ে সম্প্রতি হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, রেড মিটে অবশ্যই প্রোটিন থাকে। কিন্তু ডাল জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই সমীক্ষায় ১০২ জন অংশগ্রহণকারীদের প্রতি সপ্তাহে ৭৬০ গ্রাম করে প্রক্রিয়াজাত ও খাসির মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল, যা মোট প্রোটিনের ২৫ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে ছিল ডাল জাতীয় খাবার। এটি মোট প্রোটিনের ২০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
রেড মিট মজবুত হাড় গঠনে বা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা পালন করে না। কিন্তু ডাল জাতীয় খাবার খেলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ডাল জাতীয় খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডিও পাওয়া যায়। এই প্রতিটা পুষ্টি মজবুত হাড় গঠনে সাহায্য করে। যেহেতু বয়স বাড়লে হাড় ক্ষয় হতে থাকে, নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এমন খাবার খেতে হবে যা প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডিম, মুরগির মাংস। তবে, প্রক্রিয়াজাত ও রেড মিট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। তার চেয়ে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে ডাল জাতীয় খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডও পাওয়া যায়। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না।
গবেষকদের প্রধান সুভি আইটিকোনেন জানিয়েছেন যে, এই সমীক্ষায় রেড মিট বা ডাল জাতীয় খাবারের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের দুগ্ধজাত খাবারও দেওয়া হয়েছিল। যাতে অংশগ্রহণকারীদের দেহে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মাত্রায় কোনও হেরফের না হয়। হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে, কেউ যদি দুগ্ধজাত খাবার না খান, তাহলে দেহে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণের জন্য অন্যান্য খাবারের উপর জোর দেওয়া দরকার।