Greater Cooch behar: সাংসদ পদে শপথ নিয়েই গ্রেটার কোচবিহারের দাবি উসকে দিলেন অনন্ত মহারাজ
Ananta Maharaj: কেবল গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তোলা নয়, তৃণমূলের বাঙালিয়ানার ইস্যুকেও কটাক্ষ করেন অনন্ত মহারাজ। তিনি বলেন, "আমি বাংলায় শপথ নিইনি। আমি রাজবংশী। হিন্দিতে শপথ নিয়েছি।"
নয়া দিল্লি: বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে সোমবার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছেন অনন্ত মহারাজ। BJP সাংসদ হিসাবেই শপথ নিয়েছেন তিনি। আর সাংসদ পদে শপথ নিয়েই গ্রেটার কোচবিহারের (Greater Cooch behar) দাবি উসকে দিলেন তিনি (Ananta Maharaj)। গ্রেটার কোচবিহারের দাবি এবার সংসদেও তুলবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান অনন্ত মহারাজ। যদিও বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদরা (TMC MPs)।
অনন্ত মহারাজের গ্রেটার কোচবিহার করার দাবি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে বহুবার এই দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। এরপর এদিন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়েই সেই দাবিতে সরব হলেন অনন্ত মহারাজ। কোন-কোন এলাকা গ্রেটার কোচবিহারের অন্তর্ভুক্ত হবে, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। সংসদ ভবন থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনন্ত মহারাজ বলেন, “বাংলা, অসম এবং বিহারের কিছু অংশ নিয়ে গ্রেটার কোচবিহার গঠন করতে হবে। আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করতে হবে।” এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন অনন্ত মহারাজ।
এর আগে ৯ অগস্ট গ্রেটার কোচবিহার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অনন্ত মহারাজ বলেছিলেন, “আগে শপথ নিতে দিন, তারপরে যা বলার বলব।” এদিন শপথ গ্রহণ করে সংসদ ভবন থেকে বেরিয়েই যেভাবে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে সরব হলেন তিনি, তার থেকে মনে হচ্ছে হয়তো আজ থেকেই বলা শুরু করে দিলেন। রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, এজন্যই হয়তো রাজ্যসভায় যাওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে বলেছিলেন, ‘আপনি শুনবেন বেশি, বলবেন কম।’
এদিন কেবল গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তোলা নয়, তৃণমূলের বাঙালিয়ানার ইস্যুকেও কটাক্ষ করেন অনন্ত মহারাজ। তিনি বলেন, “আমি বাংলায় শপথ নিইনি। আমি রাজবংশী। হিন্দিতে শপথ নিয়েছি।” অর্থাৎ এদিন সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণের পর থেকেই অনন্ত মহারাজ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও অনন্ত মহারাজের এই ধরনের মন্তব্য ও গ্রেটার কোচবিহারের দাবি প্রসঙ্গে পাল্টা বিজেপিকে একাহাত নিয়েছে তৃণমূল। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপি আগে উত্তরবঙ্গ ভাগ ও গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে পরোক্ষে সমর্থন করেছে। পরে বিজেপির তরফে দক্ষিণবঙ্গ ভাগ করে রাঢ়বঙ্গ পৃথক করার দাবি ওঠে। এবার গ্রেটার কোচবিহারের দাবি উঠছে। এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অংশকে বারবার মদত দিচ্ছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের তরফে দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বরাইক রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নেন। প্রত্যেকেই একেবারে বাঙালি পোশাক অর্থাৎ পুরুষেরা ধুতি-পঞ্জাবি ও দোলা সেন শাড়ি পরে শপথ গ্রহণ করেন। বাংলা ভাষাতেই শপথবাক্য পাঠ করেন প্রত্যেকে।