Sukanya Mondal Arrest: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা
Sukanya Mondal Arrest: বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। বেশ কিছু বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা তাঁর থেকে কোনও সদুত্তর পাননি। শেষ পর্যন্ত সন্ধেয় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
নয়া দিল্লি : গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার দিল্লিতে ইডির (Enforcement Directorate) সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। বেশ কিছু বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা তাঁর থেকে কোনও সদুত্তর পাননি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে ইডির অফিসে। কিন্তু বারংবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বুধবার ইডির তদন্তকারী অফিসাররা এদিন গ্রেফতার করলেন সুকন্যাকে।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর থেকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা তদন্ত গুঁটিয়ে আনতে শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে এই গরুপাচারের এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোন পথে ঘোরানো হয়েছে, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এর আগে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, তিনি এইসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। যা জানার বাবা জানেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে তিনবার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। শেষবার হাজিরার দিন ছিল ১৩ এপ্রিল। কিন্তু সেদিনও হাজিরা দেননি তিনি। আইনজীবী মারফত সুকন্যা ইডিকে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। পরপর তিনবার ইডির হাজিরা এড়ানোর পর থেকেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, তাহলে কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে? শেষ পর্যন্ত বুধবার দিল্লির প্রবর্তন ভবনে ইডির অফিসে যান সুকন্যা মণ্ডল। সূত্রের খবর, এদিন ইডির তরফে যে সব প্রশ্ন সুকন্যাকে করা হয়েছিল, সেই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কেষ্ট কন্যা। শেষ পর্যন্ত এদিন সন্ধেয় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে।
তাঁর গ্রেফতারির পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তদন্তে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত এড়িয়ে না গিয়ে বলা উচিত ছিল, আমি কিছু জানি না। যা জানে বাবা জানেন।’ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বারবার তাঁকে ইডি, সিবিআই ডেকেছে। কিন্তু, কোনওরকম সহযোগিতা পায়নি। উল্টে তলব এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তাই, ইডি বাধ্য হয়েছে গ্রেফতার করতে।’