Sukanya Mondal: বাবার গ্রেফতারির পর যোগাযোগ রাখেননি তৃণমূল নেতারা, জেলে মন খারাপে ভুগছেন সুকন্যা
Sukanya Mondal: সুকন্যার আইনজীবী বলেছেন, কেষ্ট-কন্যা ভেঙে পড়েছেন। বাবা অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকেই তৃণমূল নেতারা খোঁজ নেননি তাঁর। তখন থেকেই নিঃসঙ্গতা গ্রাস করতে থাকে সুকন্যাকে।
দিল্লি: এক সময় বীরভূমের নিচু পট্টির এই বাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকত প্রচুর গাড়ি। রাজ্যের নেতাদের হামেশাই আনাগোনা ছিল। আর চারপাশ ঘিরে রাখত নিরাপত্তা কর্মীরা। সেই বাড়িটিরই ছবি এই ক’দিনে আমূল বদলে গিয়েছে। এখন যেন কোথাও একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। এই বাড়িতেই থাকেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এখন অবশ্য তাঁরা তিহাড়ে। গরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে উভয়ের। গ্রেফতারি পর থেকেই সুকন্যার আইনজীবী বলেছেন, কেষ্ট-কন্যা ভেঙে পড়েছেন। বাবা অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকেই তৃণমূল নেতারা খোঁজ নেননি তাঁর। তখন থেকেই নিঃসঙ্গতা গ্রাস করতে থাকে সুকন্যাকে।
বছর তিনেক আগে মাতৃহারা হয়েছেন সুকন্যা। সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হন বাবা অনুব্রতও। সেই কারণে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার নেতা মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুকন্যার পাশে থাকতে। সেই বার্তাও পৌঁছেছিল জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বর কাছে। তবে সেই নির্দেশের পরও যোগাযোগ রাখা হয়নি বলেই মানছেন জেলার নেতারা। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি খুব ব্যস্ত থাকি। তাই আমার সঙ্গে কথা হয়নি।” বীরভূমের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর ডিপ্রেশনে চলে যাওয়া স্বাভাবিক। মা মারা গিয়েছেন। বাবা জেলে। বান্ধবীর সঙ্গে সব সময় থাকতেন তিনি। ডিপ্রেশনে ছিলেন। এরপর এই ঘটনা মানসিক অবসাদে নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট।”
সুকন্যার আইনজীবী বলেন, “মন খারাপে ভুগছেন তিনি। বিভিন্ন বিষয় ভাবাচ্ছে ওঁকে। এই সবে ওঁর কোনও যোগ নেই। বিনা কারণে জড়ানো হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রবিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয় কেষ্ট কন্যাকে। বিচারক নরেশ কুমার লকা সুকন্যাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ১২ মে ফের তাঁকে পেশ করা হবে রাউস আদালতে। ইডি সূত্রে খবর, আজই তিহাড় জেলে পাঠানো হতে পারে কেষ্ট কন্যাকে। তিহাড়ের ছ’নম্বর মহিলা সেলে থাকবেন তিনি। বাবা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন তাঁর পাশের সেলে। অর্থাৎ সাত নম্বর সেলে। এ দিন, সুকন্যার আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন দশ মিনিট করে অন্তত বাবা ও বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে যেন তিনি কথা বলতে পারেন। ইডি তরফে জানানো হয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেন তাহলে তাদের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই।