Chandrayaan-3: ইতিহাস আর চন্দ্রযান-৩-র মধ্যে দূরত্ব কয়েক কিমির, দুরুদুরু বুকে কাউন্টডাউন শুরু দেশবাসীর

Chandrayaan-3 Landing: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে, কক্ষপথের শেষ ধাপে রয়েছে চন্দ্রযান-৩। মসৃণভাবেই কক্ষপথ ধরে এগিয়ে চলছে। নিয়মিত চন্দ্রযানের সমস্ত সিস্টেমও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Chandrayaan-3: ইতিহাস আর চন্দ্রযান-৩-র মধ্যে দূরত্ব কয়েক কিমির, দুরুদুরু বুকে কাউন্টডাউন শুরু দেশবাসীর
ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পুরীর সমুদ্র সৈকতে বালু-শিল্প।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2023 | 7:47 AM

নয়া দিল্লি: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবে ভারত তথা গোটা বিশ্ব। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের বুকে পা রাখবে ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করার কথা চন্দ্রযানের। তবে এবড়ো-খেবড়ো ভূমিতে অবতরণের জন্য সঠিক জায়গা খুঁজে বের করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের কাছে। এর জন্য চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ ২৩ অগস্ট থেকে পিছিয়ে ২৭ অগস্ট করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসে সুখবরই শোনাল ইসরো। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হল, পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে চন্দ্রযান-৩। বুধবার নির্ধারিত সময়েই চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।

ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে, কক্ষপথের শেষ ধাপে রয়েছে চন্দ্রযান-৩। মসৃণভাবেই কক্ষপথ ধরে এগিয়ে চলছে। নিয়মিত চন্দ্রযানের সমস্ত সিস্টেমও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আজ বিকেল ৫ টা ২০ মিনিট থেকে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং অপারেশনের লাইভ সম্প্রচার করা হবে। টুইটারে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।

গতকালই চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে অবতরণের কাউন্টডাউন। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসের মাইল ফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় ভারত। যদি সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করতে পারে চন্দ্রযান-৩, তবে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হবে যারা চাঁদের মাটিতে পা দেবে।

গত সোমবার, ১৯ অগস্টই চন্দ্রযানের ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা থেকে চন্দ্রপৃ্ষ্ঠের বেশ কিছু নতুন ছবি তুলে পাঠিয়েছিল। সেই সময় চাঁদ থেকে চন্দ্রযানের দূরত্ব ছিল মাত্র ৭০ কিলোমিটার। চাঁদের ওই পৃষ্ঠ সর্বদা পৃথিবীর দিকে পিঠ করে থাকায়, ওই অংশ আগে কখনও দেখা যায়নি। চন্দ্রযান-৩-ই প্রথম সেই ছবি দেখাল।

চন্দ্রযান-৩ এর সামনে চ্যালেঞ্জ-

দেশের রাস্তার মতোই হাল চাঁদের। সেখানের জমিতে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রয়েছে অনেক ছোট বড় গর্তও। উঁচু ঢিবিও প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য। ল্যান্ডার বিক্রমের বর্তমানে একটাই লক্ষ্য, পাথর -গর্ত এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত মসৃণ, ফাঁকা স্থান চিহ্নিত করে সেখানে চন্দ্রযানের অবতরণ করানো। ইসরোর চন্দ্রাভিযানের এই পর্যায়টিই সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। চার বছর আগে এই পর্যায়ে এসেই ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। তবে এ বার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি ইসরোর।