Panchayat Election 2023: ‘যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য’, বাংলায় পঞ্চায়েতে হিংসার নিন্দা দিগ্বিজয়ের

Digvijaya Singh: বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে কড়া ভাষায় টুইট করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটেছে, তা 'ক্ষমার অযোগ্য' বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও টুইটারে একহাত নিয়েছেন তিনি।

Panchayat Election 2023: 'যা ঘটছে তা ক্ষমার অযোগ্য', বাংলায় পঞ্চায়েতে হিংসার নিন্দা দিগ্বিজয়ের
বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তীব্র নিন্দা কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2023 | 9:51 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে একদফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) হয়েছে বাংলায়। তারপরও হিংসা, অশান্তি এড়ানো যায়নি। রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। কেবল ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। এবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে কড়া ভাষায় টুইট করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটেছে, তা ‘ক্ষমার অযোগ্য’ বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও টুইটারে একহাত নিয়েছেন তিনি।

টুইটারে কী লিখেছেন দিগ্বিজয় সিং?

বাংলা যে হিংসাত্মক পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য হতাশাজনক বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। এই ঘটনায় টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে তিনি লিখেছেন, “বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটছে তা ভয় ধরায়। আমি মমতার (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দৃঢ়তা এবং সংকল্পের প্রশংসা করতাম। কিন্তু যা ঘটছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা জানি, সিপিএম জমানাতেও আপনি সাহসিকতার সঙ্গে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু এখন যা ঘটছে তা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়।”

এর আগে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে যা ঘটেছে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক বলে রবিবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া উচিত। নয়তো গণতন্ত্র থাকবে না।”

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসায় মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসাবে এই সংখ্যাটা অর্ধেক। অধিকাংশ জায়গাতেই তৃণমূল ও নির্দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর এসেছে। এছাড়া কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গেও শাসকদলের সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। অধিকাংশ বুথে ভোটার, ভোটকর্মীদের হুমকি দিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাজ্যের ১৯ জেলার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। এরপর ১১ জুলাই, মঙ্গলবার ভোটের ফল গণনা। গণনা ঘিরেও রাজ্য অশান্তির সাক্ষ্য হবে নাকি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবে, সেটাই দেখার।