Mallikarjun Kharge: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া উচিত, না হলে…’, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের হিংসায় উদ্বিগ্ন খাড়্গে
Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসায় শনিবার কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১০।
নয়া দিল্লি: একদফায় পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections) হয়েছে ৮ জুলাই, শনিবার। আর সেই ভোটকে কেন্দ্র করে দিনভর অশান্ত থেকেছে গোটা বাংলা। যেন এক ‘রক্তক্ষয়ী’ ভোটের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। যা জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। ভোটের পরদিন রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ‘রক্তক্ষয়ী’ পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে দিল্লিতে তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। স্বচ্ছ ভোটের দাবি জানিয়ে রাজ্যে গণতন্ত্র বজায় রাখার কথাও বললেন তিনি।
কী বলেছেন খাড়্গে?
রবিবার রাতে দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমি এই হিংসার (পঞ্চায়েত ভোটে) তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেখানে (পশ্চিমবঙ্গে) স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া উচিত। নয়তো গণতন্ত্র থাকবে না।”
#WATCH | “I condemn this (violence during West Bengal Panchayat elections) because there should be fair elections otherwise there will be no democracy,” says Congress national president Mallikarjun Kharge pic.twitter.com/eoK4mLrbkh
— ANI (@ANI) July 9, 2023
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসায় শনিবার কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১০। অধিকাংশ জায়গাতেই তৃণমূল ও নির্দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর এসেছে। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদেরও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শাসকদলের তীব্র নিন্দা করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরেও এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। যদিও হিংসার ঘটনায় শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা। অধিকাংশ বুথে ভোটকর্মীদের হুমকি দিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
অশান্ত বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনেরও ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। সোমবার রাজ্যের ১৯ জেলার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।