Coromandel Express Accident: মৃতদেহ ঘেঁটে ভাইকে খুঁজছেন রাজেন্দ্র, মর্মান্তিক দৃশ্য বাহানাগায়
Coromandel Express Accident: দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরার পাশে সার সার করে শোয়ানো রয়েছে মৃতদেহগুলি। প্লাস্টিকে মোড়া সেগুলি। বুকে পাথর চাপা দিয়ে সেই সমস্ত মোড়ক খুলে স্বজনদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ।
বাহানাগা: শুক্রবারের পর শনিবার আরও মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হল ওড়িশার (Odisha) বাহানাগা স্টেশন চত্বর। মৃতদেহ ঘেঁটে-ঘেঁটে স্বজনদের খোঁজ করে চলেছেন আত্মীয়রা। এহেন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেল রাতের অন্ধকারেও। বিহার থেকে ছুটে এসে এভাবেই মৃতদেহর উপর থেকে প্লাস্টিকের মোড়ক সরিয়ে ভাইয়ের খোঁজ করে চলেছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ। তাঁর ভাই বীরেন্দ্র প্রসাদ যে ওই অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে সওয়ারি ছিলেন।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে রাজেন্দ্র প্রসাদ যেন সজল চোখে তাঁর ভাইকে খুঁজে দেওয়ারই আর্তি জানাচ্ছেন। তাঁর কথায়, আমার ভাই বীরেন্দ্র প্রসাদ ওই ট্রেনে ছিল। টিভিতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আজ এখানে ছুটে এসেছি। সকাল থেকে আমার ভাইকে খুঁজে চলেছি। কিন্তু, এখনও কোনও খোঁজ পাইনি। হাতে ভাইয়ের ছবি নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন রাজেন্দ্র। তিনি কেবল একা নন, রাজেন্দ্রর মতো অনেকেই মৃতদেহ হাতড়ে স্বজনদের খুঁজে চলেছেন। কেউ ভাইয়ের খোঁজ করছেন তো কেউ মায়ের খোঁজে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। আবার অনেকে রেলের হেল্পলাইনে ফোন করে স্বজনদের হদিশ না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল, থানায় ছুটে চলেছেন।
শুক্রবার রাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই রেলের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী থেকে ওড়িশা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। উদ্ধারকাজও তৎপরতার সঙ্গে চলে। কিন্তু, রাতে অন্ধকার নিস্তব্ধতা নামার সঙ্গে সঙ্গে জোরাল হয়ে ওঠে স্বজনহারাদের আর্তনাদ। দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরার পাশে সার সার করে শোয়ানো রয়েছে মৃতদেহগুলি। প্লাস্টিকে মোড়া সেগুলি। বুকে পাথর চাপা দিয়ে সেই সমস্ত মোড়ক খুলে স্বজনদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ। আর তার সঙ্গে শোনা যাচ্ছে তাঁদের চাপা আর্তনাদ। কবে এই আর্তনাদ বন্ধ হবে! কবে এই মর্মান্তিক দৃশ্য থেকে রেহাই মিলবে! এরই প্রমাদ গুনছে বাহানাগার বাসিন্দারা।