Anubrata Mondal: এখনই বাংলায় ফেরা হচ্ছে না কেষ্টর, থাকতে হবে তিহাড়েই
Cow Smuggling Case: কেষ্ট মণ্ডলকে তিহাড় থেকে আসানসোলে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে। কিন্তু বাংলায় ফেরৎ পাঠানোর সেই আবেদন বৃহস্পতিবার নাকচ হয়ে যায় আদালতে।
নয়া দিল্লি: এখনও রাজ্যে ফিরতে পারছেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার (Cow Smuggling Case) কেষ্ট মণ্ডলকে তিহাড় থেকে আসানসোলে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে। কিন্তু বাংলায় ফেরৎ পাঠানোর সেই আবেদন বৃহস্পতিবার নাকচ হয়ে যায় আদালতে। ফলে আপাতত বাংলায় ফেরা হচ্ছে না বীরভূমের ‘বাঘ’ কেষ্টর, থাকতে হবে তিহাড়েই। আগামী ৮ মে পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। প্রসঙ্গত এদিন দিল্লির আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে চার্জ শিট জমা দিতে দেরি হয়েছিল। সেই নিয়ে আদালত বিরক্তিও প্রকাশ করে ইডির ভূমিকায়।
উল্লেখ্য, কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ছিলেন আসানসোল সংশোধনাগারে। সেই সময়েও দিল্লি যাত্রা ঠেকানোর জন্য বার বার আইনি লড়াইয়ে যেতে দেখা গিয়েছে অনুব্রতর আইনজীবীদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। বাংলার পরিচিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে দিল্লির তিহাড়ে দিন কাটছে কেষ্ট মণ্ডলের। এমন সময়ে দিল্লি থেকে আবার বাংলায় ফেরার জন্য রাউস এভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
এর আগে তিনি যখন আসানসোল জেলে ছিলেন, তখন তাঁকে আদালতে নিয়ে আসার সময়ে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল আদালত চত্বরে। আদালত কক্ষের মধ্যেও বিচারক আসার আগে বা বিচারক চলে যাওয়ার পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ফিসফিসিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু এখন তিনি রয়েছেন তিহাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই গ্রেফতার হওয়ার পরেও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় সাংগঠনিক হাল-হকিকতের যে খোঁজখবর তিনি পাচ্ছিলেন, এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। এদিকে আবার সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমন অবস্থায় কেষ্ট যদি বাংলায় ফিরতে পারতেন, তাহলে শাসক শিবিরের জন্য তা বাড়তি পাওনা হত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।