Karnataka CM Oath Taking Ceremony: সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণে মুখ্যমন্ত্রী নয়, প্রতিনিধি হয়ে যাবেন কাকলি

নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে কর্নাটক (Karnataka)। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai)। কিন্তু তাঁর ইস্তফার পর পাঁচদিন কেটে গেলেও নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেননি। কারণ কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা ঠিকই করে উঠতে পারছিল না কংগ্রেস (Congress)। অবশেষে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয় কংগ্রেস। জানানো হয়, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে সিদ্দারামাইয়াই (Siddaramaiah)। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন ডিকে শিবকুমার(DK Shivakumar)। কংগ্রেসের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শুধু দলের শীর্ষনেতৃত্বই নয়, আমন্ত্রণ জানানো হবে সমমনস্ক অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদেরও। গতকাল মুখ্য়মন্ত্রীর নাম ঘোষণার পরই একে একে বিভিন্ন নেতাদের আমন্ত্রণ পাঠানো শুরু হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। তবে তিনি এই অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না। তাঁর বদলে যাবেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল সাংবাদিক বৈঠক করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার জন্য। তবে কোন কোন দল সেই আমন্ত্রণ পাচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা সে রাজ্যে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিআরএস প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকেও।

তৃণমূল সূত্রেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা জানানো হলেও, মুখ্যমন্ত্রী এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না। তার বদলে কর্নাটক যাবেন লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

উল্লেখ্য়, বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন থেকে শুরু করে বাজেট অধিবেশন, একই ইস্যুতে দুই দলই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেও, বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে আলাদাভাবে। কংগ্রেসের তরফে ডাকা সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির বৈঠকও বারেবারে এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সৌজন্য়ের খাতিরে মুখ্যমন্ত্রী এই শপথ  গ্রহণ অনুষ্ঠানে যান কি না, তাই এখন দেখার।