সাইরেন বাজিয়ে ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ৩০০ কিমি পাড়ি, বিজেপি থেকে ঘরে ফিরলেন কংগ্রেস নেতা
Baijnath Singh returns to Congress: ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী থেকে ভোপাল - প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিলেন। সঙ্গে সাইরেনের আওয়াজ। এভাবেই বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফিরলেন বৈজনাথ সিং।
ভোপাল: ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী থেকে ভোপাল – প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিলেন। সঙ্গে সাইরেনের আওয়াজ। এভাবেই বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফিরলেন বৈজনাথ সিং। কংগ্রেসেই ছিলেন। ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেসে যখন বিদ্রোহ হয়েছিল, সেই সময় বৈজনাথও কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। কিন্তু, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবন নেই বুঝেই, ফের পুরোনো দলে ফিরে এলেন শিবপুরী এলাকার এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। রাজ্যের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং দিগ্বিজয় সিং তাঁকে কংগ্রেসে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ‘ঘরে’ ফিরেছেন ১৫ জন জেলা-স্তরের নেতাও। সাইরেন বাজিয়ে, ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে তাঁর শিবপুরী থেকে ভোপালের কংগ্রেস অফিসে যাত্রার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কও।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হুটার বা সাইরেন বাজিয়ে চলেছে ৪০০ গাড়ির কনভয়। যার মধ্যে এসইউভির সংখ্য়াই বেশি। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে এই অবাক করা দৃশ্য দেখছেন সাধারণ মানুষ। কাউকে কাউকে মোবাইল ক্যামেরায় এই দৃশ্য বব্দি করতেও দেখা যায়। বৈজনাথের উদ্দেশে অনেকে হাতও নাড়েন। নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন, এই ভিডিয়ো দেখে তাদের ব্লকবাস্টার বলিউড ফিল্ম সিংঘমের দৃশ্যের কথা মনে পড়েছে। তবে কেউ কেউ তাঁর সাইরেন ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলিরই রাস্তায় সাইরেন ব্যবহারের অনুমতি আছে। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড এবং কিছু কিছু পরিস্থিতিতে পুলিশ তা বাজাতে পারে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা প্রায়শই ক্ষমতার নির্লজ্জ প্রদর্শন হিসেবে সাইরেন ব্যবহার করে থাকেন।
ભાજપના નેતાઓ સાયરન વગાડીને 400 કારના કાફલા સાથે કોંગ્રેસમાં જોડાવા ગયા!#bjp #car #convoy #BaijnathSingh #Congress #KamalNath #madhyapradeshnews #BJP #politics #Gujarat #gujaratinews #humdekhengenews pic.twitter.com/kib7YKzoCA
— Hum Dekhenge News (@humdekhengenews) June 15, 2023
চলতি বছরের শেষভাগেই মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন। তার আগে বৈজনাথের মতো প্রভাবশালী নেতার দলবদল বিজেপির কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। তারা বৈজনাথের সাইরেন বাজিয়ে যাওয়ার সমালোটনা করেছে। পদ্ম শিবিরের মতে, সাইরেনের ব্যবহার কংগ্রেসের ‘সামন্তান্ত্রিক মানসিকতার’ প্রতিফলন। বিজেপি মুখপাত্র হিতেশ বাজপেয়ী বলেছেন, “হুটার, সাইরেন এবং বেআইনি বিকন ব্যবহার করে জনসাধারণকে বিরক্ত করা, কংগ্রেস নেতাদের মানসিকতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত থেকে ভিআইপি সংস্কৃতি দূর করতে ব্যস্ত। কিন্তু কংগ্রেসের সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতাই তাদের হুটার ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ করে। আমি এর কঠোর সমালোচনা করছি এবং কর্তৃপক্ষের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”