My India My Life Goals: কেউ এক কোটি, কেউ এক লক্ষ; বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ রক্ষায় নজির রামাইয়া-সুরার
My India My Life Goals: 'মাই ইন্ডিয়া মাই লাইফ গোলস'-এর মূল বক্তব্য হল, পরিবেশ রক্ষা করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য। যদি প্রতিটি নাগরিক তাদের কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে পারে, তাহলে 'নিউ ইন্ডিয়া'-র স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
নয়া দিল্লি: যদি প্রকৃতি হাসে তবেই আমরা ভাল থাকতে পারব। তাই পরিবেশ রক্ষায় ১৯৭৩ সালের ৫ জুন এক বড় পদক্ষেপ করা হয়েছিল এবং সেই দিনটিই বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day) হিসাবে চিহ্নিত হয়। এবছর ৫০ তম বিশ্ব প্রকৃতি দিবস উদযাপিত হয়। তাই ৫০ তম বিশ্ব প্রকৃতি দিবস উপলক্ষ্যে এক বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। আর ভারত সরকারের এই কর্মসূচির অংশীদার হয়েছে TV9। পরিবেশ রক্ষায় ভারত সরকারের (Government of India) বিশেষ কর্মসূচির অংশীদার হতে পেরে গর্বিত TV9 কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ রক্ষায় গত ৫ জুন ভারত সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হল, ‘মাই ইন্ডিয়া মাই লাইফ গোলস’। মূলত, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘আজাদি কে অমৃত মহোৎসব’-এর অংশ হিসাবেই এই কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। এই কর্মসূচিরই অংশীদার হয়েছে TV9। এই কর্মসূচির অধীনে মূলত বিশেষ জীবনযাত্রার উপর দৃষ্টিপাত করা হয়েছে, যেটা পরিবেশ-বান্ধব হবে।
পরিবেশ-বান্ধব জীবনযাত্রার প্রধান লক্ষ্য হল, দেশের জনগণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ করার ব্যাপারে জনগণকে উৎসাহিত করা। ‘মাই ইন্ডিয়া মাই লাইফ গোলস’-এর মূল বক্তব্য হল, পরিবেশ রক্ষা করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য। যদি প্রতিটি নাগরিক তাদের কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে পারে, তাহলে ‘নিউ ইন্ডিয়া’-র স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। তাই ‘মাই ইন্ডিয়া মাই লাইফ গোলস’-এর অংশীদার হিসাবে TV9 পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে এবং নিজেদের ভূমিকা পালন করার আবেদন জানাচ্ছে।
দেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দিন-রাত পরিবেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বানজীবি রামাইয়া। তেলুগু সম্প্রদায়ভুক্ত রামাইয়া ইতিমধ্যে তাঁর কাজের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। লোকে তাঁকে ‘পাগল’ নামে ডাকে। কিন্তু, তিনি তেলঙ্গানায় ১ কোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করেছেন। রামাইয়ার মতো পরিবেশপ্রেমী আরেকজন হলেন হরিয়ানার কনস্টেবল দেবেন্দ্র সুরা। লোকে তাঁকে ‘ট্রি-ম্যান’ নামেই চেনেন। তিনি তাঁর নিজের শহর সোনেপতকে সবুজায়ন করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ১ লক্ষ চারা বসিয়েছেন। তাঁর শহর সংলগ্ন ১৫০টির বেশি গ্রামকে সবুজায়ন করার লক্ষ্য নিয়েছেন ট্রি-ম্যান।