Opposition Meeting: বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে পটনায় বৈঠক ডাকলেন নীতীশ, কারা কারা থাকবে সেখানে?
Opposition Alliance: ১২ জুন পটনার বৈঠক কতটা ফলপ্রসু হয় সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। এতদিন ধরে যে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, পটনার বৈঠক থেকে কি সেই জোট কোনও অবয়ব পাবে?
নয়া দিল্লি: একদিকে যখন রাজধানীতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে, তখন অন্যদিকে বিজেপি-বিরোধী জোটের (Opposition Alliance) সলতে পাকাতে ব্যস্ত বিরোধী দলগুলি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী ১২ জুন বিহারের পটনায় বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠক ডেকেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। কারা কারা থাকবে সেই বৈঠকে? তৃণমূল কি থাকবে? এখনও পর্যন্ত যা খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি সেই বৈঠকে থাকবেন। এর পাশাপাশি বিহারের জেডিইউ-এর একদা শরিক দল আরজেডিও ১২ তারিখের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে। সেই সঙ্গে আম আদমি পার্টিরও সেদিনের বৈঠকে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এনসিপি ও ডিএমকে-র প্রতিনিধিদেরও থাকার কথা রয়েছে বৈঠকে। সর্বোপরি কংগ্রেস শিবিরও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী দলের এই বৈঠকে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপি বিরোধী দলগুলির এক মেগা-বৈঠক হতে চলেছে পটনায়।
এর আগে কর্নাটকের নতুন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি। তিনি বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। আবার সপা নেতা অখিলেশ যাদবও যাননি। এমন এক পরিস্থিতিতে ১২ জুন পটনার বৈঠক কতটা ফলপ্রসু হয় সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। এতদিন ধরে যে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, পটনার বৈঠক থেকে কি সেই জোট কোনও অবয়ব পাবে? জাতীয় রাজনীতিতে বিগত বছরগুলিতে নিজেদের গুরুত্ব বুঝিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আম আদমি পার্টিও দিল্লির বাইরে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। পঞ্জাবে সরকার গড়েছে কেজরীবালের দল। এমন অবস্থায় যদি পটনার বৈঠক থেকে কোনও মোড় নেয় বিজেপি বিরোধী জোট, তাহলে কি ভরকেন্দ্র হয়ে উঠবেন নীতীশ কুমার? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে বিরোধীদের এই বৈঠককে বিশেষ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বাংলার বাইরে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। বাংলার কংগ্রেসকে ঠিক করতে হবে অধীর চৌধুরী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি বসে চপ-কাটলেট খাবেন কি না, একসঙ্গে ভোট প্রচার করবেন কি না। তাদের সঙ্গে আবার বামফ্রন্টও রয়েছে। বামফ্রন্ট তাহলে কোথায় যাবে? আমাদের বিরোধীদের নিজেদেরই ঠিক নেই।’