Modi in Pakaria: আদিবাসী বাদ্যের তালে তালে করতালি, পাকরিয়া গ্রাম মাতল মোদীতে
PM Modi in Pakaria village of Madhya Pradesh's Shahdol: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল আদিবাসী অধ্যুষিত পাকরিয়া গ্রাম। আদিবাসী জনতা, তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, তাঁদের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র সহযোগে নাচ-গান পরিবেশন করেন।
ভোপাল: শনিবার (১ জুলাই), ভোটমুখী মধ্য় প্রদেশের শাহদোল জেলায় বিন্ধাঞ্চলের আদিবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সঙ্গে নিয়ে শাহদোলের পাকরিয়া গ্রামে আসেন। সেখানে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পেসা (পঞ্চায়েত এক্সটেনশন টু শিডিউল এরিয়া) কমিটির নেতা এবং গ্রামের ফুটবল ক্লাবগুলির অধিনায়কদের সঙ্গে বাক্যালাপ করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আদিবাসীদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। বিন্ধ্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। গত ২৭ জুন ভোপালে এসেছিলেন মোদী। ওই দিনই পাকরিয়া গ্রামে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার জন্য শাহদোলে আসতে পারেননি তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল আদিবাসী অধ্যুষিত পাকরিয়া গ্রাম। আদিবাসী জনতা, তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, তাঁদের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র সহযোগে নাচ-গান পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রীকে উঠে দাঁডিয়ে তালে তালে করতালি দিতে দেখা গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে বসে আদিবাসী নৃত্য-গীত উপভোগ করেন তিনি। গ্রামের কচিকাঁচাদের সঙ্গেও সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁদের হাতে ফুটবলও তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা সমাবেশ এলাকাটি সাজানো হয়েছিল আদিবাসী শিল্পকলায়।
এরপর, গ্রামবাসীদের সামনে বক্তৃতাও দিতে গিয়ে তিনি, পূর্ববর্তী সরকারগুলির বিরুদ্ধে আদিবাসী ও দরিদ্রদের অবহেলা করার অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আগের সরকারগুলি আদিবাসী সম্প্রদায় এবং দরিদ্রদের অসম্মান করেছে। একজন উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ার সময়, বেশ কয়েকটি দল কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল, তা আমরা দেখেছি। শাহদোলে যখন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছিল, তখন তারা তাদের পরিবারের নামে সেটির নামকরণ করেছিল। শিবরাজ সরকার কিন্তু ছিন্দওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেছিল বিপ্লবী রাজা শঙ্কর শাহের নামে। আমরা পটল পানি স্টেশনের নামও বিপ্লবী তাঁতিয়া টোপির নামে রেখেছি।”
আদিবাসী এলাকায় শিক্ষা ও স্কুলের গুরুত্বের উপর জোর দেন তিনি। দাবি করেন, তাঁর সরকার আদিবাসী শিশুদের জন্য ৪০০টিরও বেশি নতুন একলব্য বিদ্যালয় চালু করেছে। মধ্যপ্রদেশে এই ধরনের স্কুলে ২৪,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বলেও জানান তিনি।