PM Narendra Modi: মিলেনিয়াল মোদী! তিন রাজ্যের জয় উদযাপন করতে এই কাজ করলেন প্রধানমন্ত্রী…
Assembly Election 2023 Results: তিন রাজ্যের মানুষদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমি ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের মানুষদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিন রাজ্যের মানুষ বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীকে আশীর্বাদ করেছেন।"
নয়া দিল্লি: বিজেপির জন্য বছরের শুরুটা হল জয় দিয়েই। একদিকে যেখানে ত্রিপুরাতে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি(BJP), সেখানেই নাগাল্যান্ডে জোটসঙ্গী এনডিপিপিকে পাশে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। মেঘালয়ে মাত্র দুটি আসনে বিজেপি জয়ী হলেও, কনরাড সাংমার দল এনপিপির সঙ্গেই হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে কেন্দ্রের শাসক দল। একসঙ্গে তিন রাজ্যের এই জয়কে উদযাপন করতেই বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেখানেই তিনি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন। নির্বাচনের জন্য যে সমস্ত দলীয় কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান। উত্তর-পূর্বের মানুষ, যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সম্মান জানানোর জন্য মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালানোর অনুরোধও করেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির সদর দফতরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের সম্মান জানাতে আমি সকলকে অনুরোধ করছি যে মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান”। উপস্থিত সকলে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালানোর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এইভাবে আপনারা উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মানুষদের সম্মান জানালেন। উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষদের দেশপ্রেমকেও সম্মান জানাই। উন্নয়নের পথ ও তাদের গর্বকে সম্মান জানাতেই এই লাইট। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
তিন রাজ্যের মানুষদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমি ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের মানুষদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিন রাজ্যের মানুষ বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীকে আশীর্বাদ করেছেন। পাশাপাশি আমি তিন রাজ্যের বিজেপির সমস্ত কার্যকর্তাদেরও অভিনন্দন জানাতে চাই। উত্তর-পূর্ব ভারতে কাজ করা সহজ নয়। তাই আমি সকলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “যখন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির নির্বাচনের ফল বের হচ্ছিল, তখন দিল্লি ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে সেরকম কোনও চর্চা ছিল না। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ে হিংসার আলোচনা হয়েছে। তবে উত্তর পূর্ব দিল্লি থেকেও দূর নয়, দিল থেকেও দূর নয়।”