Chandrayaan-3: ‘মুন ওয়াক’ শুরু করেছে প্রজ্ঞান রোভার, চাঁদের তাপমাত্রা জানলে চোখ কপালে উঠবে!
ISRO: প্রজ্ঞান রোভার একসঙ্গে অনেকগুলি কাজ করবে। যেমন, উপযুক্ত জায়গা খুঁজে সেখানে কুয়োর মতো গর্ত করার কাজ শুরু করবে প্রজ্ঞান। মূলত, ভূমি চরিত্র নির্ধারণ করাই প্রজ্ঞান রোভারের মূল লক্ষ্য।
বেঙ্গালুরু: চাঁদে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) -র অবতরণের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে মুন ওয়াক শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। এব্যাপারে ইতিমধ্যে ইসরো (ISRO)-কে বার্তাও পাঠিয়েছে। চাঁদের তাপমাত্রা-সহ অন্যান্য তথ্যও দিতে শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের তাপমান শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! তবে এখনও পর্যন্ত সব ‘অল ইজ ওয়েল’ (All is well), সব ঠিকমতো এগোচ্ছে বলেই জানাল ইসরো।
ইসরো সূত্রে খবর, যে জায়গায় ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে সেই জায়গার তাপমান এসেছে মাইনাস ১৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতিমধ্যে ‘মুন ওয়াক’ শুরু করেছে প্রজ্ঞান রোভার। ইসরো টুইট পোস্টে জানিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের তিনটে পে-লোড আজ চালু হয়েছে। রোভার প্রজ্ঞানের গড়ানোও শুরু হয়েছে। প্রোপালশন মডিউলের ‘শেপ’ পেলোড রবিবার থেকে চালু হবে।
প্রজ্ঞান রোভার একসঙ্গে অনেকগুলি কাজ করবে। যেমন, উপযুক্ত জায়গা খুঁজে সেখানে কুয়োর মতো গর্ত করার কাজ শুরু করবে প্রজ্ঞান। মূলত, ভূমি চরিত্র নির্ধারণ করাই প্রজ্ঞান রোভারের মূল লক্ষ্য। এছাড়া চাঁদে খনিজ এবং রাসায়নিক কী কী আছে, তা নির্ধারণ করারও চেষ্টা করবে প্রজ্ঞান রোভার। আবার পৃথিবীতে যেভাবে ভূমিকম্প হয়, চন্দ্রপৃষ্ঠেও সেরকম কম্পন হয় কিনা, তাও নির্ধারণ করার চেষ্টা চলছে।
ইসরো-র মূল মিশন সেন্টারে দুটি অংশে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমত, বিজ্ঞানীরা একদিকে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার দায়িত্বে কাজ করছে এবং বার্তা পাঠাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মূল স্ক্রিনের কাছে বসে থাকা বিজ্ঞানীরা প্রজ্ঞান এবং বিক্রমের পাঠানো তথ্য এবং ছবি বিশ্লেষণ করছেন। এখনও পর্যন্ত প্রজ্ঞান রোভারের সব সিস্টেম স্বাভাবিক এবং চাঁদে ‘ALL IS WELL’ বলে জানিয়েছে ইসরো।