Derek O’Brien: ভোটাভুটি হয়নি, ডেরেকের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
ডেরেক ও'ব্রায়েনের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সংসদে অনুপযুক্ত আচরণ, ক্রমাগত অশান্তি-বিক্ষোভ, সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর দায়ে বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে।
নয়া দিল্লি: ডেরেক ও’ব্রায়েনের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাজ্যসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই, জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন তৃমমূল সাংসদ। তারপরই, সংসদে অনুপযুক্ত আচরণ, ক্রমাগত অশান্তি-বিক্ষোভ, সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর দায়ে বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। এরপর, ১২.৪৫ পর্যন্ত সভা মুলতবি করে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যসভার কার্যক্রম ফের শুরু হতেই অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় জানান, তৃণমূল সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি। কারণ তাকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়নি।
এদিন, ডেরেককে সাসপেন্ড করার বিষয়ে প্রস্তাব দেন রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল। পীযূষ গোয়েল অভিযোগ করেন রাজ্যসভার কার্যক্রমকে তিনি ক্রমাগত বাধা দিচ্ছেন, অধ্যক্ষকে অমান্য করছেন এবং রাজ্যসভায় ক্রমাগত অশান্তি সৃষ্টি করছেন। এর পরই ডেরেক ও’ব্রায়েনককে সাসপেন্ড করার কথা জানান ধনখড়। কক্ষ জুড়ে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। যার জেরে মুলতবি করে দেওয়া হয় সভার কার্যক্রম। পরে, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি জানানো পর, ফের আক্রমণাত্বক ভূমিকাতেই দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে।
তার আগে, রাজ্যসভায় এদিনের তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি গ্রহণ করার সময়, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলগুলির দাবির কথা জানান জগদীপ ঝনখড়। তিনি জানান, এটিও তালিকায় রয়েছে। পীযূষ গোয়েল জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কখন রাজ্যসভায় আসতে পারবেন, তা তিনি জানার চেষ্টা করছেন। বিরোধীরা চাইলে দুপুর ১২টা নাগাদ এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। জগদীপ ধনখড় আরও জানান, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আড়াই ঘন্টারও বেশি আলোচনা গড়াতে পারেষ। সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তাতে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন। এই সময়ই ডেরেক ও’ব্রায়েন একটি পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপন করার জন্য উঠে দাঁড়ান। অধ্যক্ষ তাঁকে সতর্ক করেছিলেন, পয়েন্ট অব অর্ডার ছাড়া যাতে তিনি আর কিছু না বলেন। তৃণমূল সাংসদ জানানস সংসদীয় বিধি ২৬৭-র আওতায় আলোচনা চায় বিরোধীরা। এই নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ালে, পীযূষ গোয়েল বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য ডেরেককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন।