Chandrayaan-3: চন্দ্রযানের সফল ল্যান্ডিংয়ের নেপথ্যে তামিলনাড়ুর মাটির কারসাজি? এই জেলা থেকে গিয়েছে টন টন মাটি

Chandrayaan-3: এবারের চন্দ্রযান মিশনের পরীক্ষায় যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা নামাক্কাল জেলার সিথামফুন্ডি এবং কুন্নামালাই থেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

Chandrayaan-3: চন্দ্রযানের সফল ল্যান্ডিংয়ের নেপথ্যে তামিলনাড়ুর মাটির কারসাজি? এই জেলা থেকে গিয়েছে টন টন মাটি
চাঁদে ইতিহাস ভারতের Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2023 | 11:42 PM

নামাক্কাল: গোটা বিশ্বের নজর এখন ভারতের উপর। চাঁদ ছুঁয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে ইসরো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম ল্যান্ডার। এর আগে চিন, আমেরিকা, রাশিয়া চাঁদে গেলেও এই অংশে কেউ পা রাখতে পারেনি। সেই দিক থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখা দেশ হিসাবে বিশ্বের মধ্যে এখন প্রথম ভারত। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। কিন্তু, জানেন কি চন্দ্রযান-3 মিশনের সাফল্যের সঙ্গে তামিলনাড়ুর মাটির সম্পর্ক রয়েছে! 

তামিলনাড়ুর রাজধানী থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নামক্কাল জেলা। মজার ব্যাপার হল, ইসরো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানকার মাটি ব্যবহার করে আসছে। ১১ বছর ধরে ইসরোকে মাটি সরবরাহ করছে নামাক্কাল। পেরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এস আনবাজগান বলেছেন, তামিলনাড়ুর নমাক্কালের মাটি এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা মাটির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সে কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ২০১২ সাল থেকে ISRO চন্দ্র মিশনের জন্য নমাক্কালের মাটি ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “চন্দ্রপৃষ্ঠে এক বিশেষ ধরনের মাটি রয়েছে যাকে ভাষায় অ্যানর্থোসাইট বলে। বিজ্ঞানের ভাষায় পাথর থেকে তৈরি মাটি। এটি একদমই নামক্কালের মাটির মতো।”

আগের মিশনের সাফল্য বর্ণনা করে অধ্যাপক ড. আনবাজগান বলেছেন, “আগের মিশনের জন্য এখান থেকে ৫০ টন মাটি ISRO-তে পাঠানো হয়েছিল। যার সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখানকার মাটির সাহায্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হলে চন্দ্রযান-৩-এর কাজ আরও সহজ হতে পারে। আমরা এখান থেকে মাটি পাঠাচ্ছি ইসরোকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী। ইসরো যদি চন্দ্রযান-৪ শুরু করে, তাহলে এর জন্যও এখান থেকে মাটি পাঠানো হবে।” তিনি এও বলেন, “এই মাটির সাহায্যে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার কীভাবে চাঁদে নরম অবতরণ করবে তা পরীক্ষা করা হয়েছিল।” সূত্রের খবর, এবারের চন্দ্রযান মিশনের পরীক্ষায় যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা নামাক্কাল জেলার সিথামফুন্ডি এবং কুন্নামালাই থেকে পাঠানো হয়েছে।