Supreme Court: প্রাথমিক স্কুলে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের

Supreme Court: সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়. রাজ্য়ের বক্তব্য শোনা হবে। তবে তার আগে আপাতত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। 

Supreme Court: প্রাথমিক স্কুলে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 1:56 PM

নয়া দিল্লি: প্রাথমিক স্কুলে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় আবারও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মূল মামলকারীদের নোটিস দিতে হবে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রয়োজন পড়লে ৩৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এরই একটি অংশ পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় আবার আলাদা করে কেন সিবিআই তদন্ত? সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়. রাজ্য়ের বক্তব্য শোনা হবে। তবে তার আগে আপাতত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে।

এদিকে সোমবার ৫০ জন শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। এই পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় চলতি সপ্তাহে মোট ৪০০ জন শিক্ষককে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই জমা করতে পারে। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, আগে এক্ষেত্রে মূল মামলাকারীদের নোটিস দিতে হবে।

২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে, তা নিয়ে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন কয়েকজন শিক্ষক। তাঁরা অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আবার সেই রাতেই প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং পরের দিন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী কুমারপাল চোপড়া। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই মামলায় কোনওভাবেই যুক্ত নন মানিক, তাঁর বক্তব্য না শুনেই তাঁর বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ২৫ ও ২৬ জুলাইয়ের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে হাইকোর্টে এই মামলার মূল আইনি প্রক্রিয়া চলতে কোনও বাধা নেই বলেও স্পষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।