Anubrata Mondal: হঠাৎ সেল বদল হয়েছে অনুব্রতর, কী হল ‘বীরভূমের বাঘের’?
Anubrata Mondal: শুক্রবার অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি তিনি।
নয়া দিল্লি: তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত বারবার আদালতে জানিয়েছেন তাঁর অসুস্থতার কথা। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে জামিন চেয়েছেন একাধিকবার। হুইল চেয়ারে আদালতে হাজির করতেও দেখা গিয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। এবার জানা গেল হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। একদিনের জন্য জেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার তাঁর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল সে কথা জানিয়েছেন। তবে আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন। শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশও নিয়েছিলেন অনুব্রত। অন্যদিকে, তাঁর আইনজীবীর দাবি, তাঁদের না জানিয়েই সেল বদল করা হয়েছে অনুব্রতর।
২ মাস ধরে কোনও শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও দেখা যায়নি তাঁকে। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল, ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরা দিতে পারবেন অনুব্রত। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয়। ভিডিয়োতে সবুজ পোশাক পরা অনুব্রতকে দেখা যায়।
তাঁর আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, কিছু না জানিয়েই সেল বদল করা হয়েছে অনুব্রতর। তিহাড়ের সাত নম্বর সেলে থাকতেন তিনি। বর্তমানে তাঁকে সরিয়ে তিন নম্বর সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে সরানো হল, সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন আইনজীবীরা। আইনজীবী জানান, সায়গল হোসেন তাঁদের জানিয়েছেন যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটা অর্ডার আসার পরই সেল বদল করা হয় অনুব্রতর। উল্লেখ্য, সাধারণত তিহাড় জেলের সাত নম্বর সেলে থাকেন আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্তরা। আর তিন নম্বর সেলে থাকেন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা। সে ক্ষেত্রে অনুব্রতকে কেন সাত নম্বরে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
অনুব্রত কতটা অসুস্থ তা জানা যায়নি। তবে এদিন আদালতে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে বাবার অসুস্থতার কথা জানান সায়গল হোসেন। শুনে কেঁদেও ফেলেন সুকন্যা। শুক্রবার ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে চলছে অনুব্রতর জামিনের মামলা।