Supreme Court: নির্দেশ ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টে সশরীরে দেশদ্রোহে অভিযুক্ত ইয়াসিন মালিক, হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা
Supreme Court: উত্তর খুঁজতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি লিখে ফেলেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ এমনটাই খবর সূত্রের।
নয়া দিল্লি: সপ্তাহের আর পাঁচটা দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে তুমুল ব্যস্ততা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। একের পর এক এজলাসে চলছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর এজলাসেও একই ছবি। সওয়াল জবাবে ব্যস্ত দেশের নামী আইনজীবীরা৷ কিন্তু, আচমকা সকলের চোখ আটকে গেল আদালতের এক কোণায় পুলিশি পাহারায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির দিকে। তিনি আর কেউ নন, দেশদ্রোহে অভিযুক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। কিন্তু, তিনি কী করেন এলেন কোর্টে? সকলের চোখেমুখে যেন ঘোরাফেরা করছে এই একটাই প্রশ্ন। ইয়াসিনকে দেখে বিস্ময় বিচারপতিদের মুখেও। সকলেই নীচুস্বরে কথা বলছেন একে অপরের সঙ্গে।
এরমধ্যেই সবার আগে মুখ খুললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সরাসরি বিচারপতিদের প্রশ্ন করলেন, মাই লর্ড এই ব্যক্তি এখানে কী করে? বিচারপতিরাও সমস্বরে জানালেন, তাঁরাও একই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন। এরপরই সলিসিটর জেনারেল জানতে চাইলেন শীর্ষ আদালত কি সশরীরে ইয়াসিন মালিকের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল? বিচারপতিরা জানালেন, তাঁরা এমন কোনও নির্দেশ দেননি। বা কেউ দিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই। তাহলে এই হাইপ্রোফাইল আসামি, পাক মদতপুষ্ট ‘জঙ্গি’ তকমা যুক্ত, তিহার বন্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক পুলিশ পাহারায় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে পৌঁছাল কী করে? প্রশ্নের উত্তর তখনও মিলছে না। বেশি সময় নষ্ট না করে মামলার শুনানি স্থগিত করলেন দুই বিচারপতি। ঠিক হয়, কোনও মামলার শুনানিতে প্রয়োজন হলে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে হাজির করা হবে ইয়াসিন মালিককে৷ এদিকে এরইমধ্যে আবার মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে দেখা গেল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে৷
তবে নাটক এখানেই শেষ নয়। উত্তর খুঁজতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি লিখে ফেললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ এমনটাই খবর সূত্রের। জানতে চাইলেন কীভাবে ইয়াসিন মালিকের মতো জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সশরীরে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছল? এমনকী এখানে আসার পথে ইয়াসিন মালিককে কেউ কিডন্যাপ করতে পারত, কেউ তার প্রাণ নিতে পারতো! এই আশঙ্কাও নিজের লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন এসজি তুষার মেহতা, দাবি সূত্রের৷ গোটা ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ মহলেও৷ চাঞ্চল্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনেও। দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।