Abhishek Banerjee: নির্দেশ ছিল আজই হাজিরার, এরই মধ্যে অভিষেককে নতুন করে চিঠি পাঠাল CBI
Abhishek Banerjee: এবারের চিঠিতে গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের হাজিরার নোটিস স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে নতুন চিঠিতে। মঙ্গলবার সকালেই ওই চিঠিটি লেখা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee) গতকাল চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই (CBI)। আজই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টের থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও কেন এই তলব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার মঙ্গলবার ফের নতুন করে অভিষেককে চিঠি পাঠাল সিবিআই। এবারের চিঠিতে গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের হাজিরার নোটিস স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে নতুন চিঠিতে।
উল্লেখ্য, গতকাল (১৭ এপ্রিল) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৬০ সিআরপিসি অনুযায়ী নোটিস পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সেই চিঠিতে বলা ছিল, আজ (মঙ্গলবার) হাজিরা দেওয়ার জন্য। তবে এবার ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ আজকের দিনেই নতুন করে একটি চিঠি সিবিআইকে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে সই রয়েছে সিবিআই এসিবির। চিঠিতে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই হাজিরার নোটিস স্থগিত রাখা হচ্ছে।
গতকাল সকালেই সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে। আর দুপুরেই প্রকাশ্যে আসে অভিষেককে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিসের কথা। তুমুল চর্চা শুরু হয় সেই নিয়ে। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই টুইটারে এই নিয়ে সরব হন। সিবিআইয়ের নোটিসের ছবি টুইটারে শেয়ার করে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে একহাত নিয়েছিলেন অভিষেক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার কথাও ভাবছিলেন অভিষেকের আইনজীবীরা। আর এরই মধ্যে সিবিআই-এর তরফে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন করে অভিষেককে চিঠি পাঠানো স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, সিবিআই বাধ্য হল ঢোঁক গিলতে। আমরা বার বার অভিযোগ করছি, সিবিআই ও ইডিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে। যা হয়েছে, তা আদালত অবমাননার সামিল। তাই সিবিআইকে ঢোঁক গিলতে হয়েছে।’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা অবশ্য বলছেন, এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কোনও ব্যাপার নেই। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ ছিল। সেই মতোই সিবিআই করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সর্বোচ্চ আদালত যখন স্থগিতাদেশ দিয়েছে, সেইক্ষেত্রে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পিছিয়ে গিয়েছে।’