Enforcement Directorate: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে সন্দেহজনক লেনদেন: ইডি
ED on Recruitment Scam: ইডির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করা হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য ওই সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করছে ইডি।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যে বিশাল অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার শাখা-প্রশাখা কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগ রয়েছে শহর কলকাতার এমন তিনটি জায়গায় গত দু’দিনে হানা দিয়েছে ইডি। সেই নিয়ে এবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, গত ২১ ও ২২ অগস্ট তল্লাশি অভিযান চলাকালীন বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি ও ডিজিটাল তথ্য তাদের হাতে এসেছে এবং সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ইডির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করা হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য ওই সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করছে ইডি। ইডি আরও জানাচ্ছে, ওই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অন্যতম ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। অতীতে ওই সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই অনেকটা অগ্রসর হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য়, ‘ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। খুব কৌশলীভাবে একটি নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে, এটা বিজেপির তরফ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি অঙ্গ।’