Rain Forecast: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রবিবার আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির আশঙ্কা, প্রবল বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে
Rain Forecast: বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপর। বিহারের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা আবার দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ডানা মেলেছে বলে জানাচ্ছে মৌসব ভবন।
কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সব প্রান্তেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছেই। সপ্তাহান্ত থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস (Weather Department)। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায়। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে আগামী ৩ দিন অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তালিকায় রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। তবে তিনদিন পর বৃষ্টির দাপট যে একেবারে কমে যাবে এমনটা নয়। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে প্রায় সব জেলাতেই।
তবে রেহাই পাবে না দক্ষিণবঙ্গও। সব জেলাতেই আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরমধ্যে বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সীতামারী কিষেণগঞ্জ থেকে মালদহ হয়ে মনিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ থেকে একটি অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে সেটি উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপর। বিহারের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা আবার দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ডানা মেলেছে বলে জানাচ্ছে মৌসব ভবন। এরইমধ্যে আবহাওয়া দফতর এও জানাচ্ছে রবিবার বাংলাদেশ সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সে কারণেই উপকূলবর্তী জেলা ও বাংলাদেশের পাশে থাকে জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কলকাতায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শুক্রাবর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশ। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও ঊর্ধ্বমুখী। এদিন তা প্রায় ৭৩ থেকে ৯৭ শতাংশ।