Suvendu Adhikari in High Court: ‘বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো যুদ্ধ’, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতির
Suvendu Adhikari in High Court: এসডিও-র জারি করা নির্দেশ খারিজ করে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ অগস্ট দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
কলকাতা: যে দিন শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার কথা ছিল, তার আগের দিনই জারি হল ১৪৪ ধারা! খেজুরির মহকুমা শাসকের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি। ‘বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো যুদ্ধ করা যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বারবার সভা করার ক্ষেত্রে বাধা পেয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি সভার অনুমতিও দিয়েছে আদালত। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সেই সভা হবে আগামী ২৬ অগস্ট। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া না গেলেও, আদালতে মিলল অনুমতি।
গত ১৯ আগস্ট খেজুরিতে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সভার অনুমতিও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাধ সাধে ১৪৪ ধারা। হঠাৎ একদিন আগে অর্থাৎ ১৮ তারিখেই জারি হয় ১৪৪ ধারা। এরপর ঠিক হয়, ২৬ অগস্ট সভা হবে। কিন্তু এবার আর মেলেনি পুলিশের অনুমতি। এরপরই মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের যুক্তি ছিল, বোর্ড গঠন ঘিরে ওই অঞ্চলে অশান্তি হয়েছে। পরবর্তী বোর্ড গঠনে যাতে অশান্তি না হয়, তার জন্য নাকি জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “এটা কোনও পুলিশ স্টেট নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি, যে এইভাবে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। বিরোধীদের আটকাতে এমন বাচ্চাদের মতো যুদ্ধ করা যায় না।”
১৪৪ ধারা জারি করার ক্ষেত্রে সঠিক আইন মানা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কোনও পূর্ব কারণ না দেখিয়েই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সভার আগের দিন জারি করাতেই প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। কাউকে আটকানোর জন্য এটা করা হচ্ছে বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক। এর ফলে খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
১৪৪ ধারা জারির ক্ষেত্রে আইনে যে সব অবস্থার কথা বলা আছে, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত। ১৪৪ ধারার জারির মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেও মনে করছে না আদালত। এসডিও-র জারি করা নির্দেশ খারিজ করে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ অগস্ট দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, সভায় কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।