JU: নিরাপত্তার স্বার্থে যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর পক্ষে জুটা, সান্ধ্য-আড্ডাতেও নিয়ন্ত্রণ চায়
JUTA: জুটার দাবি, অ্যান্টি র্যাগিং নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটা হস্টেলের সামনে বোর্ড দিয়ে, দেওয়ালে লিখে সতর্ক করতে হবে।
কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বা ইউজিসি। রিপোর্ট দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তার আগে সোমবার বৈঠকে বসে তদন্ত কমিটি। বৈঠকে ছিলেন জুটার প্রতিনিধিও। যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা জুটার (JUTA) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, দোষীদের চরম শাস্তি এবং নবাগতদের আলাদা হস্টেলের দাবি তাঁদের প্রথম থেকেই। এদিনও সেই দাবিকেই আরও জোরালভাবে রাখা হয়েছে। পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “নবাগতদের আলাদা হস্টেল এবং প্রাক্তনীদের দ্রুততার সঙ্গে হস্টেল থেকে বের করতে হবে। একইসঙ্গে বলেছি, নতুন হস্টেল তৈরি করতে হবে। সঙ্গে হস্টেল প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। এমনকী ওয়ার্ডন চালু করতে হবে। অন্যত্র তা আছে।”
জুটার দাবি, অ্যান্টি র্যাগিং নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে যথাযথভাবে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটা হস্টেলের সামনে বোর্ড দিয়ে, দেওয়ালে লিখে সতর্ক করতে হবে। পার্থপ্রতিমবাবুর দাবি, শিশুসুরক্ষা কমিশন সোমবার বলেছে, সুরঞ্জন দাসের সময়ে সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। অথচ অধ্যাপকরা তাতে বাধা দেন। পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটা একেবারেই মিথ্যা কথা।”
জুটা এদিন রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি রেজিস্ট্রার নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ধরনের সমস্ত নিরাপত্তা রেজিস্ট্রারেরই আওতাধীন। এদিনের বৈঠকে সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বসা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে জুটা। সন্ধ্য়ার পর আইকার্ড দেখাতে হবে বলেও দাবি জুটার।
পার্থপ্রতিমবাবু রায় বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবে সার্ভিল্যান্সের পক্ষে নই। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত কমন জায়গা, গেটে সিসিটিভি বসানোর পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষকরা। হস্টেলেও ঢোকার পথে সিসিটিভি বসানোর পক্ষে শিক্ষকরা মত দিয়েছেন। এদিন শিক্ষকরা বলেছেন, হতে পারে এটা শুধু র্যাগিংয়ের ঘটনা নয়। এটা হতে পারে সেক্সুয়াল ও ফিজিকাল হ্যারাজমেন্টও। সেটা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”