Jadavpur University: ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও দিতে দেয়নি’, জয়দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
JU Death: এই অভিযোগ সত্যি হলে শুধু পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধাদানই নয়, হাসপাতালেও বাধাদান করা হয়েছে। অর্থাৎ মারাত্মক পথে এগিয়েছে বুধবার রাত থেকে ওই ছাত্রের মৃত্যুর আগের মুহূর্ত।
কলকাতা: পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার জয়দীপ ঘোষ নামে এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এদিন সওয়াল জবাব পর্বে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, ধৃত জয়দীপকে জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নিতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। এমনকী হাসপাতালে গেলেও পুলিশকে মৃত পড়ুয়ার কাছে যেতে দেয়নি অভিযুক্তরা, দাবি সূত্রের। এই অভিযোগ সত্যি হলে শুধু পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধাদানই নয়, হাসপাতালেও বাধাদান করা হয়েছে। অর্থাৎ মারাত্মক পথে এগিয়েছে বুধবার রাত থেকে ওই ছাত্রের মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত। মৃত্যুকালীন জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওই ছাত্রের বয়ান পাওয়া যেত, তাহলে হয়ত এতক্ষণে তদন্তের মোড় অন্য পথ নিত।
সূত্রের খবর, জয়দীপ ঘোষকে জেরা করে আরও ১১ জনের নাম জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে না দেখে খুনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এগোচ্ছে তদন্ত। এই ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের একটা চেষ্টা হয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, “আজকের মামলা ছিল ৩৫৩-র আইপিসি। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদান। এক তো গেট বন্ধ রেখেছিলেন হস্টেলের। সেটা আমরা বলেছি। দ্বিতীয়ত, যখন ওই ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই মুহূর্তে পুলিশকে তার কাছে যেতে দেওয়া হয়নি বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এই দু’টো আমরা বলেছি। এই ঘটনায় জয়দীপের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। কেন এটা করল সেটা জানার জন্য আদালত ২৪ তারিখ অবধি পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।”