JU Student Death: হস্টেল ত্রাসের আর এক নাম সত্যব্রত! বাবা ফল বিক্রেতা, সেলাই করে সংসার চালান মা
JU Student Death: তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন, ধৃত সত্যব্রত রায় নিরাপত্তারক্ষী থেকে সুপার সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (JU Student Death) এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১৩। শনিবার রাতে নতুন করে গ্রেফতার করা হয় একজনকে। এর আগে ১৮ অগস্ট গ্রেফতার করা হল শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রাইকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টের ফোন পাওয়ার পরেও শুধুমাত্র সত্যব্রতর ভয়ে সাহস করে এগিয়ে যায়নি হোস্টেল সুপার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সত্যব্রত রাই। বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। থাকতেন মেইন হস্টেলে। সূত্রের খবর, ৯ অগস্ট রাত ১০টা ৫ মিনিটে ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায়কে ফোন করেছিলেন সত্যব্রত।
সত্যব্রতর ফোন পাওয়ার পর ডিন অব স্টুডেন্টস হস্টেল সুপারকে ওই নম্বরটি দিয়ে চেনেন কিনা জানতে চান। একইসঙ্গে বিষয়টি দেখতে বলেন। হস্টেল সুপার নম্বরটি মিলিয়ে দেখে বুঝতে পারে সেটি আর কেউ নয়, সত্যব্রতর নম্বর। নম্বর সত্যব্রতর বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে হস্টেলে কিছু হচ্ছে তা আঁচ করতে পারলেও সুপার সাহস করে আর ওই ব্লকের দিকে এগিয়ে যাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, সত্যব্রতর দাপট, ভয়েই তিনি এগোনোর সাহস করেননি। নিজে সশরীরে না গিয়ে ফোন করে মেস কমিটিকে জানিয়েছিলেন হোস্টেল সুপার।
কিন্তু, চতুর্থবর্ষের পড়ুয়া সত্যব্রতকে এত ভয় কেন?
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন, ধৃত সত্যব্রত রায় নিরাপত্তারক্ষী থেকে সুপার সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। আবাসিক থেকে শুরু করে হস্টেল কতৃপক্ষ কেউ কিছু বললে পাল্টা চাপ তৈরি করত সত্যব্রত। সত্যব্রতর ভয়ে শুরু থেকেই আতঙ্ক ছিল হস্টেলে।এবার সেই সত্যব্রত গ্রেফতার হতেই একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সকলে। এদিকে ছোট থেকেই দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়েছিলেন সত্যব্রত। বাবা প্রদীপ রাই ফল বিক্রি করেন, মা রুমা রাই সেলাইয়ের কাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন। পাড়াতেও মেধাবী ছেলে বলে পরিচিতি ছিল সত্যব্রতর। কিন্তু, তাঁর এই চরিত্রের কথা জানতে পেরে অবাক হচ্ছে সকলেই। যদিও তাঁর বাবা-মায়ের দাবি, ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের ছেলেকে।