Medical College: মেডিক্যালে র্যাগিং বিরোধী মিছিল, হস্টেলে প্রাক্তনীদের ‘নো এন্ট্রি’
Anti Ragging: র্যাগিং রুখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফে এদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ইউজিসির নিয়ম মেনে গিরিবাবুর হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হবে।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সতর্ক হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজগুলোও। হস্টেল থেকে বহিরাগতদের সরাতে বুধবারই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এবার ময়দানে কলকাতা মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও। বৃহস্পতিবার র্যাগিং বিরোধী মিছিল করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা। মিছিল করেন শিক্ষক-চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরাও।
বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দু’টি মিছিল বের হয়। প্রথম মিছিলে ছিলেন প্রিন্সিপাল, উপাধ্যক্ষ, চিকিৎসক, ডিন অব স্টুডেন্টস, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। ক্যাম্পাসে কোনওভাবেই র্যাগিং বরদাস্ত করা হবে না, সেই অঙ্গীকারকে সামনে রেখেই তাঁদের মিছিল হয়। এরপর দুপুরে মেডিক্যালের ছাত্ররা একটি মিছিল বের করেন। ছাত্র সংসদের সদস্যরা ছিলেন সেই মিছিলে।
র্যাগিং রুখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফে এদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ইউজিসির নিয়ম মেনে গিরিবাবুর হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। অর্থাৎ প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখার পক্ষে হাঁটতে চলেছে কলকাতা মেডিক্যালও।
উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আজ সকাল থেকে দফায় দফায় মিটিং হয়েছে। আমরা ২-৩টে হস্টেল ঘুরে দেখেছি। গিরিবাবুর হস্টেল নতুন করে সাজানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।” অন্যদিকে অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের প্রতি বছরই যা যা পদক্ষেপ করা হয় এখনও সেই পদক্ষেপই করছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা জায়গায় রাখা যায়। আসলে আলাদা করে প্রথমবর্ষের জন্য় কোনও ভবন তো সম্ভব নয়। তবে একটা ফ্লোরে যাতে রাখা যায়। প্রতি বছরই সে চেষ্টা চলে। আমাদের এখানে র্যাগিং বিরোধী কমিটি আছে। অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড আছে। সেখানে আমাদের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিরা রয়েছেন। হস্টেল সুপারও আছেন।”
একইসঙ্গে যাদবপুরের মতো কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজেও বহিরাগতদের উপস্থিতির অভিযোগ রয়েছে। এবার কাদের নামে হস্টেলের ঘর থাকছে, সেই ঘরগুলিতে বাস্তবে কারা থাকছে সমস্ত তথ্য যাচাই করে তালিকা করছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ যাঁরা মেডিক্যাল কলেজের ঘর দখল করে রেখেছেন, এবার তাঁদের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে হবে।
মেন্টরিং সেলের বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। সেলের সদস্যরা হস্টেলগুলি ঘুরে দেখেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, যাদবপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে যা যা করণীয় সবটাই তাঁরা করবেন। এরমধ্যে নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে চলেছে, বহিরাগতদের হস্টেল ছাড়া করার উদ্যোগ।