VIDEO: শুধু যাদবপুর ‘মাছরাঙা’ নয়, একই দৃশ্য মেডিক্যাল ও আরজিকরে-ও

Calcutta Medical College: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী হলের উঠোনেও এই ছবি দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নেশার আসর বসছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা কি কিছু টেরই পাচ্ছেন না?

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 7:50 PM

কলকাতা: সম্প্রতি যাদবপুরের এক ছাত্রী প্রকাশ্যে দাবি করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেশা করা তাঁদের অধিকার। সত্যিই এমন অধিকারের দাবিদার পড়ুয়ারা কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে তুমুল তর্ক বিতর্কও চলছে। এরইমধ্যে আরজি কর, মেডিক্যাল কলেজে যত্রতত্র দেখা মিলল বিয়ারের ক্যান, মদের বোতলের। আরজিকরে অ্যানাটমি বিল্ডিং ও অন্যত্র পড়ে আছে মদ ও বিয়ারের বোতল। প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের পিছনেও মদের আসরের প্রমাণ মিলেছে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসেও কি তাহলে রাত বাড়লে নেশার আড্ডা বসে?  নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজও সেই ছবি।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী হলের উঠোনেও এই ছবি দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নেশার আসর বসছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা কি কিছু টেরই পাচ্ছেন না? মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ বিরাট বড় প্রাঙ্গন। এখানে প্রতিদিন শুধু ১০ হাজার ওপিডিতে মানুষ আসেন। তার সঙ্গে ২ হাজার, ৩ হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। বাড়ির পরিজন থাকেন। আমার ৩ হাজার ছাত্র, নার্সিং কলেজ, স্কুল আছে। ৮টা গেট মেডিক্যাল কলেজের। ভবঘুরেও আছে। আমরা সবসময়ই সচেতন। আমাদের কাছে এরকম কোনও খবর নেই। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই কোনওদিনই এই ধরনের কাজকর্ম প্রশ্রয় দেয় না।” কে কখন বাইরে থেকে এসে কীসের বোতল ফেলে রেখে যাচ্ছেন তা দেখাও সম্ভব নয়। এটা জনগণের হাসপাতাল।

একইসঙ্গে মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষর বক্তব্য, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার জন্য হাসপাতালচত্বর পরিষ্কার হচ্ছে। কর্পোরেশনের বহুদিনের জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার চলছে। তার জন্য কিছু বেরোতে পারে বলেও সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন উপাধ্যক্ষ। তিনি আত্মবিশ্বাসী, “আমরা নিশ্চিত করতে পারি মেডিক্যাল কলেজে এরকম কোনও বিষয় বা নেশার আঁতুড়ঘর কিছুই নেই।” তবে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটার বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা মেডিক্যাল কলেজের গর্বকে নষ্ট করছে। আর এসবের মধ্যে দিয়ে যার অসম্মান হচ্ছে, সেটা বাংলার মানুষের। কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইতিউতি মদের বোতল পড়ে থাকা ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে। মেডিক্যাল বা আরজি করের এই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, মাছ খায় সব পাখি, দোষ হয় মাছরাঙার?