Hilsa price in Kolkata: ৩ দিনে বাজারে ১ হাজার টনের বেশি ইলিশ, দাম কেন কমছে না? ‘টেস্ট’ নিয়েও বাড়ছে চিন্তা
Hilsa price in Kolkata: মাছে ভাতে বাঙালির পাতে ইলিশের জুরি মেলা ভার। গত কয়েক বছর কিছুটা ঘাটতি থাকলেও, এবার সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে।
কলকাতা: একবার জানালার বাইরেটা দেখুন তো? দেখুন আকাশ থেকে আপন মনেই ঝরে চলেছে ইলশেগুড়ি। আর ইলশেগুড়ির বৃষ্টির সঙ্গেই তো ইলিশ (Hilsa Fish) আসছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দিঘার মত্স্যজীবীরা বিগত তিন দিনে ধরেছেন প্রায় হাজার টন ইলিশ (Ilish)। সাগর থেকে ফিরেছে ট্রলার। আজ তো আবার রবিবার। তার উপর সকাল থেকেই চলছে মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছুটির বাজারে যাবেন তো? কী খাবেন? সর্ষে ইলিশ? ইলিশ ভাপা নাকি ভাজা ইলিশ আর ইলিশের তেল! কিন্তু, দাম কত? কোন বাজারে মিলবে সবথেকে ভাল মাছ? চলুন বৃষ্টি ভেজা সকালে একবার তাতেই চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
মাছে ভাতে বাঙালির পাতে ইলিশের জুরি মেলা ভার। গত কয়েক বছর কিছুটা ঘাটতি থাকলেও, এবার সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে। কারণ, মত্স্যজীবীদের জালে এবার রুপোলি শস্যের ছড়াছড়ি। বৃষ্টি শুরু হতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির মত্স্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে টন টন রুপোলি শস্য। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ৫০০ টনের উপর ইলিশ উঠেছিল। গত ৩ দিনে ১ হাজার টনের বেশি ইলিশ ডায়মন্ড হারবারের বাজারে। ফলে এক ধাক্কায় ডায়মন্ড হারবারের আড়তগুলিতে ইলিশের আমদানি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রায় ৫০ টন ইলিশ উঠেছে দিঘার মোহনায়।
কোথায় কত দাম?
জোগান অনেক থাকলেও মানিকতলা থেকে গড়িয়াহাট বাজার, লেক মার্কেট, কলকাতার সব বড় মার্কেটেই ইলিশের দাম কিন্তু বেশ চড়া। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৫০০ টাকা/কেজি।
৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা/কেজি দরে। ১ কেজির ইলিশের দাম কেজিতে ১৪০০-১৫০০ টাকা। আমদানি বেশি। পাইকারিতে দাম কম হলেও, কেন খোলা বাজারে ইলিশের দাম বেশি? পাইকারি ব্যবসায়ী আশিস বরের দাবি, আমদানি খরচ থেকে লেবার খরচ সবটাই বেড়ে গিয়েছে তাতেই দাম বাড়ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী মোহিতোষ রায় বলেন, “বহন খরচ রয়েছে তো। বরফের খরচ আছে। আরও আনুসাঙ্গিক খরচ রয়েছে। আড়ত থেকে ৫০০ টাকায় কিনে ৬০০ টাকায় না বিক্রি করতে পারলে লাভ তো কিছুই থাকবে না।” আরও বৃষ্টি হলে, ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। মত্স্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে বৃষ্টি ও পুবালি হাওয়া থাকায় ইলিশের ঝাঁকের দেখা মিলছে। তবে, রুপোলি শস্যের স্বাদের তারতম্যে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। আড়তদার তপন বর বলছেন বৃষ্টি হলে মাছের স্বাদ আরও ভাল হবে। একই মত আর এক ব্যবসায়ী রূপেশ মহারাজের। তার দাবি, যতক্ষণ না ইলিশ মিষ্টি জল খাবে ততদিন এর স্বাদ আসবে না। তবে রবিবারের আগে বাজারে বাড়তি ইলিশে ক্রেতা-থেকে বিক্রেতা সকলের মুখেই চওড়া হাসি।