Jadavpur University: JU-তে মাদক নিষিদ্ধ, গেটে বসছে CCTV, ছাত্র-মৃত্যুর পর তৎপর কর্তৃপক্ষ
Jadavpur University: হস্টেলে দিনের পর দিন প্রাক্তন ছাত্র বা বহিরাগতরা কীভাবে থাকতেন, তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন সাবধানতা অবলম্বন করতে চলেছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একগুচ্ছ পদক্ষেপ করার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক বা সুরা আনলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তিনি। পাশাপাশি, নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। বাংলা বিভাগের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং-এর অভিযোগ সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। সেই মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর এই সাংবাদিক বৈঠক করা হল কর্তৃপক্ষের তরফে।
বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময় দেখা হবে পরিচয়পত্র। নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত গাড়িগুলির ওপরেও যাতে নজর রাখা হয়। চালক ও যাত্রী উভয়কেই আই ডি কার্ড দেখাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসের ভিতর অ্যালকোহল ও ড্রাগ নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘কারও কাছে এই ধরনের দ্রব্য পাওয়া গেলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্র মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে, হস্টেলে কেন কোনও সিসিটিভি বসানো হয়নি। এবার সেই দিকেও নজর দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, সিসিটিভি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। তবে আপাতত হস্টেল ও ক্যাম্পাসে গেটে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে বসানো হবে সিসিটিভি। এ ব্যাপারে সিসিটিভি-র সংস্থার সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, হস্টেলে রেজিস্টার খাতা বা লগ বুক রাখার কথা জানিয়েছেন স্নেহমঞ্জু বসু। হস্টেলে দিনের পর দিন প্রাক্তন ছাত্র বা বহিরাগতরা কীভাবে থাকতেন, তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন সাবধানতা অবলম্বন করতে চলেছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গিয়েছে, রেজিস্টার খাতা নতুন নয়, আগেও ছিল। তাহলে খাতার কি কোনও গুরুত্বই ছিল না? সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পর ইউজিসি-র তরফ থেকে উত্তর চাওয়া হয়েছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষের কাছে। র্যাগিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আদৌ কোনও ব্যবস্থা ছিল কি না, তা জানতে চেয়েছে ইউজিসি।