Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফের জামিন, এবার নীলাদ্রি দাস
Niladri Das: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক চক্রের খোঁজ পায়, যারা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। তেমনই একটি সংস্থা নাইসা তদন্তকারীদের র্যাডারে ছিল।
কলকাতা: কলকাতা: নিয়োগ মামলায় আরও একজনের জামিন। শনিবার শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন নীলাদ্রি দাস। ৩০ হাজার টাকার বন্ডে শর্তাধীন জামিন দেয় আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালত। নাইসা কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। সেই নাইসার দায়িত্ব ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরি করা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক চক্রের খোঁজ পায়, যারা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। তেমনই একটি সংস্থা নাইসা তদন্তকারীদের র্যাডারে ছিল। গ্রেফতারও হন নীলাদ্রি। এর আগে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যও জামিন পেয়েছেন। শনিবার জামিন পান চার শিক্ষকও।
গাজিয়াবাদ থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল নীলাদ্রি দাসকে। গত মার্চে গ্রেফতার হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল সিবিআই। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামের কাছে নাইসার দু’টি অফিস রয়েছে। দু’জায়গাতেই তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছিল। সেসব নথির ভিত্তিতেই নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করা হয়।
নিয়োগকাণ্ডে সিবিআই যে চার্জশিট দাখিল করেছে সেখানে নীলাদ্রি দাসের নাম রয়েছে। সেখানে নীলাদ্রির ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করেছিল সিবিআই। বলা হয়েছিল, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে এই নীলাদ্রি দাস মিলিতভাবে ওএমআর শিট কারসাজিতে যুক্ত ছিলেন। যাঁর বিরুদ্ধে এরকম গুরুতর তথ্য তদন্তকারী সংস্থার হাতে আছে, তিনি জামিন পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে গ্রুপ সি মামলার তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও নীলাদ্রি দাসের আইনজীবী বারবারই আদালতে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের কোনও প্রমাণ নেই।