Misuse of Drinking Water: জল ‘চুরি’ বন্ধে আইন আনছে রাজ্য সরকার? কী বলছেন মন্ত্রী?
Misuse of Drinking Water: পানীয় জলের অপচয় রোধে, চুরি করে অন্য কাজে ব্যবহার রুখতে আইন আনার কথা ভাবছে রাজ্য। এদিন এ কথা জানিয়ে দেন পুলকবাবু।
কলকাতা: বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে জলসঙ্কট (Water Crisis)। জল অপচয় রোধে জোর প্রচার চালাচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা। কিন্তু অবস্থা বদলাচ্ছে কই? শহর হোক বা গ্রাম, অপচয়ের ছবিটা সর্বত্রই কমবেশি এক। এরইমধ্যে এবার জল ‘চুরি’ বন্ধে আইন আনছে রাজ্য সরকার। জানিয়ে দিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। সঙ্গে দিলেন নতুন প্রতিশ্রুতি। বুধবার বিধানসভায় বললেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে গ্রামীণ এলাকার সবার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যাবে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫ লক্ষ পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের টার্গেট ১ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যে সেই কাজ পুরোদমে চলছে। একইসঙ্গে পানীয় জলের অপচয় রোধে, চুরি করে অন্য কাজে ব্যবহার রুখতে আইন আনার কথা ভাবছে রাজ্য। এদিন এ কথা জানিয়ে দেন পুলকবাবু।
রাজ্য যে প্রতিটা মানুষের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। এদিন বারবার সে কথা শোনা যায় মন্ত্রীর গলায়। একইসঙ্গে দেখা হবে কৃষিকাজের বিষয়গুলিও। তবে খাওয়ার জল যাতে অন্যত্র ব্যবহার করা না হয় সে দিকে ভাল করেই নজর রাখবে সরকার। এর জন্য সেচ দফতর রয়েছে বলে তাঁর মত। তখনই বলেন, “পানীয় জল যাতে শুধুমাত্র পানীয় হিসেবেই ব্যবহার করা হয়, আগামী দিনে আমরা আইন আনার কথা ভাবছি।’’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে কেন্দ্রের টাকা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে বাংলার সরকার। এই দাবি তুলে আবার কেন্দ্রীয় অর্থবরাদ্দ বন্ধের দাবি তুলেছেন অনেক বিজেপি নেতা। তা নিয়ে পুলকবাবু বলছেন, বহু লোক চিঠি লিখে কেন্দ্র যাতে টাকা না দেয়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের যে টাকা তা পেতে আমাদের অসুবিধা হয়নি।