Sukanta attacks Sujit: ‘এগরোল বেচেই উত্থান’, সিবিআই তলব করতেই সুজিতকে তোপ সুকান্তর
Sukanta attacks Sujit: ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। তালিকায় ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভাও।
কলকাতা: চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে ! গোটা দেশ এখন উত্ফুল্ল। গর্বের চওড়া হাসি মুখে। তবে বাংলায় টেনশনের শেষ আছে ? এই পরিস্থিতিতেও দুর্নীতির ছায়া যেন গ্রহণ হয়ে অন্ধকার বাড়িয়ে চলেছে ! ইডি-সিবিআইয়ের দৌড়ঝাঁপ, দিনেদিন আরও বাড়ছে। নামধাম বাড়ছে তলবের লিস্টেও। তালিকায় নয়া নাম এবার মন্ত্রী সুজিত বসু। পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দমকলমন্ত্রীকে তলব করেছে সিবিআই। ৩১ অগস্ট সুজিত বসুকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এগরোল বিক্রি করেই নাকি সুজিতবাবুর এই ‘বাড়বাড়ন্ত’।
সুকান্ত বলেন, “নিউটাউন, বাগুইআটি, এই সমস্ত জায়গায় ঘুরে জানতে পেরেছি ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই এই উত্থান।” এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে একাধিক পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। তালিকায় ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভাও। সূত্রের খবর, ওই পুরসভা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। তার ভিত্তিতেই সুজিত বসুকে তলব করা হয়েছে বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় অভিযানে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি মিলেছে। সেই নথির সঙ্গে এই দুর্নীতির অন্যতম চক্রী অয়ন শীলের বাড়ি থেকে পাওয়া নথিপত্রের যোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, যেহেতু সুজিত বসু একটা সময়ে ওই পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ওই সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্পিড পোস্টে তাঁর বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। যদিও শুরুতে মন্ত্রীমশাই কিন্তু মানতে নারাজ নোটিস পাওয়ার কথা। বলেছিলেন, আপনাদের থেকে শুনেছি। দেখব বিষয়টা। যদিও শেষে তদন্তের প্রয়োজনে সবরকম সহযোগিতা করতে যে তিনি প্রস্তুত সে কথাও জানিয়েছেন।
এদিকে শাসক নেতাকে এই তলব ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে জোর চর্চা। সুকান্তর মতোই তোপ দেগেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বলছেন, “যেখানে নিয়োগ সেখানে টাকা। স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হোক বা পুরসভা সব জায়গায় একই ছবি। কেউ এখন অপরাধ করলে ধরা পড়বে।” তবে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর প্রশ্ন, “ইডি তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূলের বিভিন্ন লোককে ডাকছে। কটা কেস তারা প্রমাণ করতে পেরেছে, কটা চার্জশিট তাঁরা দিতে পেরেছে?”