Tata Motors Share: জোর ধাক্কা দিয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলন, কিন্তু তবু দমেনি টাটা মোটরস, দুই দশকেই পেনি স্টক থেকে মাল্টিব্যাগার
Tata Motors Share: পরিসংখ্যানে এও দেখা যাচ্ছে গত তিন বছরে এই স্টকের দাম ৪৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপিটালের গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছে টাটা মোটরস।
কলকাতা: ১৯৯৯ সালে যে স্টকের দাম ছিল মাত্র ২৭ টাকা, সেই স্টকের (Tata Motors Share) দামই এখন পৌঁছে গিয়েছে ৬০০ টাকার উপরে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ টাটা মোটরসের একটি স্টকের দাম ছিল ৬৩.৬০ টাকা। সেটাই ২০২৩ সালের জুনে পৌঁছে যায় ৫৮৫ টাকায়। করোনা শুরুর পর থেকেই দেশের বিখ্যাত এই অটোমোবাইল সংস্থার শেয়ারের দাম রকেট গতিতে বাড়তে থাকে। শুধু মাত্র ২০২৩ সালেই এই স্টকের দাম ৪৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে শেয়ারের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ে।
পরিসংখ্যানে এও দেখা যাচ্ছে গত তিন বছরে এই স্টকের দাম ৪৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপিটালের গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছে টাটা মোটরস। দেশের মধ্যে এর আগে এই রেকর্ড ছিল একমাত্র রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের কাছে। দেশের দ্বিতীয় প্রাইভেট কোম্পানি হিসাবে এই রেকর্ড তৈরি করে টাটা মোটরস।
টাটা মোটরসের শেয়ারের ইতিহাস বলছে, ২০০২ সালে এই স্টকের শেয়ারের দাম ছিল ৩২ টাকা। ২০০৫ সালে তা করে ফেলে সেঞ্চুরি। দাম পৌঁছে যায় ১২৫ টাকায়। তবে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে এই শেয়ারের দামে খুব একটা ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়নি। ২০০৮ সালে দাম হয় ১২৭ টাকা। এই সময়েই সিঙ্গুরে টাটা ন্যানোর কারখানা বন্ধের দাবিতে বড় আন্দোলন হয় বাংলার বুকে। শেষ পর্যন্ত পিছু হটে টাটা গোষ্ঠী। কারখানা চলে যায় গুজরাটের সানন্দায়। যদিও ফের ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় টাটা মোটরস। ২০১১ সালে স্টকের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৭ টাকায়। ২০১৪ সালে সেই দাম দাঁড়ায় ৫৩০ টাকা। ২০১৭ সালে দাম হয় ৫২৩। তবে ২০২০ সালে তা আবার অনেকটাই কমে যায়। তবে পরের তিন বছরে আবার দেখা যায় ঊর্ধ্বগতি। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই দাম হয় ৬১৭ টাকার আশেপাশে।
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন সংস্থা টাটা মোটরস লিমিটেডের সদর দপ্তর মুম্বইয়ে। নানারকম যাত্রীবাহী গাড়ি, ট্রাক, ভ্যান, বাস তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। অতীতে এই সংস্থার নাম ছিল টাটা ইঞ্জিনিয়রিং লোকোমোটিভ কোম্পানি। ১৯৪৫ সালে লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসাবে বাজারে পরিচিতি বাড়ে টাটা গ্রুপের এই সংস্থার। ১৯৫৪ সালে ডেমলার-বেঞ্জ এজি-র সহযোগিতায় প্রথম বাণিজ্যিক যানবাহন তৈরি করে এই সংস্থা। অটোমোবাইলের দুনিয়ায় সেই প্রথম পা। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৮ সালে টাটামোবাইল চালু করার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী গাড়ির বাজারে প্রবেশ করে টাটা মোটরস। ১৯৯১ সালে তৈরি হয় টাটা সিয়েরা। ১৯৯৮ সালে টাটা প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় যাত্রীবাহী গাড়ি ইন্ডিকা চালু করে। ২০০৮ সালে বাজারে আসে টাটা ন্যানো।