Education Department: সুতিকাণ্ডের মতো ‘জাল’ নথি দিয়ে আরও কোনও শিক্ষক নেই তো? বুধেই বৈঠকে বসছে শিক্ষা দফতর
Fake Documentation: বুধবার একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা দফতর। সুতিকাণ্ডের মতো আর কোন কোন জেলায় নথি জাল করে নিয়োগ হয়েছে, সেই সব খোঁজখবর নিতেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: মুর্শিদাবাদের সুতিতে নথি জাল করে শিক্ষক পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। বাবা স্কুলের হেডমাস্টার। সেই স্কুলেই বহাল তবিয়তে চাকরি করে আসছিলেন নথি জাল করা ‘ভুয়ো’ শিক্ষক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা ও ছেলে উভয়কেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সুতির ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল আর কোথায় কোথায় এমন কাণ্ড ঘটেছে, তা খুঁজে বের করার জন্য। আর এসবের মধ্যেই এবার শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের গুঁতোয় নড়েচড়ে বসল রাজ্য শিক্ষা দফতর।
আগামিকাল (বুধবার) একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা দফতর। সুতিকাণ্ডের মতো আর কোন কোন জেলায় নথি জাল করে নিয়োগ হয়েছে, সেই সব খোঁজখবর নিতেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। আগামিকাল বিকেল সাড়ে তিনটের সময় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে কোথাও কিছু ঘটেছে কি না, তা খুঁজে দেখার জন্য। সেই নির্দেশের পর এবার বৈঠকে বসছে শিক্ষা দফতর।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ছিল মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলের। সেখানকার প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন আশিস তিওয়ারি। আর তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি ওই স্কুলেই ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, অনিমেষ জাল নথি দিয়ে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। মুর্শিদাবাদের ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, নিয়োগপত্র বা সুপারিশপত্র কিছুই ছিল না, অথচ বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছিলেন অনিমেষ।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের ছেলে ওই ভূগোলের শিক্ষককেও পাকড়াও করেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।