JU Student Death: বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তচিন্তার’ পক্ষে সওয়াল ব্রাত্যর, শিক্ষামন্ত্রীকে ‘অতিবাম-নকশাল’ খোঁচা শুভেন্দুর
JU Student Death: এদিন বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তচিন্তার পক্ষেও সওয়াল করেন ব্রাত্য। বিধানসভায় তিনি বলেন, 'আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় দখল নয়। মুক্তচিন্তা থাকুক। কিন্তু স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে সূক্ষ্ম বিভেদ আছে।'
কলকাতা: যাদবপুরর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য বিধানসভা। শুভেন্দুর নাগাড়ে আক্রমণের জবাব দিচ্ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বোঝাতে চাইলেন, যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্য সরকার যথেষ্ট তৎপর। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের তরফে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির গঠন করা হয়েছে, তাও এদিন বলেন ব্রাত্য। একইসঙ্গে এদিন বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তচিন্তার পক্ষেও সওয়াল করেন ব্রাত্য। বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় দখল নয়। মুক্তচিন্তা থাকুক। কিন্তু স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে সূক্ষ্ম বিভেদ আছে।’ বিধানসভায় ব্রাত্যর বক্তব্য চলাকালীনই তুমুল হই হট্টগোল শুরু করে দেয় বিজেপি। বক্তব্যের মাঝপথেই ওয়াক আউট করে যায় বিজেপি।
বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তমনা, মুক্তচিন্তার পক্ষে ব্রাত্যর সওয়ালে আপত্তি শুভেন্দুর। বলেন, ‘অপদার্থ শিক্ষামন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা। বলছেন, ছাত্রমৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্যপাল। তিনি মুক্তমনা, মুক্তচেতনাকে সমর্থন করলেন। বললেন, তিনি মুক্তমনার সমর্থক। একজন অতিবাম, নকশাল কেউ উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী হলে পরিণতি যা হয়, তাই আজ বিধানসভায় দেখতে পেলাম।’
শুভেন্দুর এই আক্রমণের পর বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু আবারও বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চিরকালই মুক্তচিন্তার জায়গা ছিল। কিন্তু মুক্ত চিন্তা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।’ একইসঙ্গে বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। বলছেন, ‘বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিজেপি মনে করছে রাজনৈতিকভাবে ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিতে পারবে। যেভাবে জেএনইউ থেকে শুরু করে দেশের সব পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে।’