Oily Skin Care: তৈলাক্ত ত্বক ভাল রাখতে গেলে অয়েল কন্ট্রোল প্রসাধনী ব্যবহার করাই কি যথেষ্ট? জানুন
Skin Care Tips: তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে বলিরেখা সহজেই এড়ানো যায়। কিন্তু মুখে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হলে রোমকূপে ময়লা, জীবাণু জমতে থাকে। এতে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়।
তৈলাক্ত ত্বক মানে নাকের দু’পাশ ও কপাল জুড়ে তেল গড়াবে। হাজার বার মুখ ধুয়েও মুখের এই তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এই কারণে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বিশেষ সচেতন হতে হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সবসময় ‘অয়েল কন্ট্রোল’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে হয়। এমনকী সেগুলো ব্যবহার করেও সম্পূর্ণরূপে তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তৈলাক্ত ত্বকে তেলের উৎস হল সেবাম। সেবাম যত বেশি উৎপন্ন হবে, আপনার মুখ তত তৈলাক্ত দেখাবে।
তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে বলিরেখা সহজেই এড়ানো যায়। কিন্তু মুখে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হলে রোমকূপে ময়লা, জীবাণু জমতে থাকে। এতে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তৈলাক্ত ত্বকের অন্যতম বড় সমস্যা হল এই ব্রণ। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে কোনওভাবেই আপনি মুখের তেলতেলে ভাবকে এড়াতে পারবেন না। তবে, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এনে আপনি সেবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
১) ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন
ত্বকের যত্নে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি সারাদিন ধরে কী খাচ্ছেন, তা সরাসরি আপনার মুখের উপর প্রভাব ফেলে। আপনি যদি ভাজাভুজি, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, রেড মিট, শর্করা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খান, তাহলে সেবাম উৎপাদন বাড়বে। মুখে তেলের নিঃসরণ বাড়বে। এসব খাবারের বদলে গোটা শস্য, তাজা ফল, শাকসবজি, মাছ, বাদাম, বীজ খান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমবে।
২) হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
মহিলাদের দেহে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকের উপর তৈলাক্ত ভাব বাড়ে। সেবাম উৎপাদনকে পুরুষ হরমোনগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে, গর্ভাবস্থায়, ঋতুবন্ধের সময় অনেক সময় দেহে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর জেরে মুখে সেবামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। দেখবেন, এসময় ব্রণর সমস্যাও সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
৩) অনিদ্রা ও মানসিক চাপ
সুন্দর ত্বকের জন্য জরুরি প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে রক্তে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রাও বিঘ্নিত হয়। এটি যেমন ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণ হতে পারে, তেমনই ত্বকে সেবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া অপর্যাপ্ত ঘুম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নানা প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অবসাদ। এই বিষয়গুলোও আপনার কর্টিসল (স্ট্রেস) হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা সরাসরি প্রভাব ফেলে সেবাম উৎপাদনের উপর। তাই তৈলাক্ত ত্বককে ভাল রাখতে গেলে মানসিক চাপ কমিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।
৪) প্রসাধনীর দিকে নজর দিন
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রায় সকলেই ‘অয়েল কন্ট্রোল’ প্রসাধনী বেছে নেন। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। আপনার প্রসাধনীতে অ্যালকোহল, প্যারাবিন, সুগন্ধ থাকা চলবে না। পাশাপাশি যে প্রসাধনীতে স্যালিসিলিক, অ্যাজিলায়েক, রেটিনল ও নায়াসিনামাইড অ্যাসিড রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন।