Motorcycle Ride: মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়: ত্রয়োদশ পর্ব—প্রকৃতির মাঝে এ এক অন্য লাদাখ, প্রথম পর্ব
Ladakh Bike Trip From Kolkata: আমি আমার লেখার মাধ্যমে বারবার এটাই বোঝাতে চাই যা হল, ৬০০০ কিলোমিটারই হোক আর ৫০০০০ কিলোমিটার... যে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে সে বাকিটাও পারবে। আর একটা কথা কী ধরনের বাইক হবে, কত সিসি হবে, তা কোনও অর্থ রাখে না।
প্রত্যেক রাইডারের জন্যই স্বপ্নের রাইড হল লাদাখ। শুধু বাইক নিয়েই বা কেন, প্রতিটি মানুষই হয়তো জীবনে অন্তত একবার এই লাদাখ ভ্রমণ করতে চান। এখানে নীল আকাশ, আর তার সঙ্গে রংবেরঙের পাহাড়… হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে, সবুজের কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু তাহলেও কারাকোরাম পর্বতের সেই রঙিন পাহাড় প্রত্যেক মানুষেরই আকর্ষণের কেন্দ্র। রাতে হাজারো তারার নীচে আমাদের হোটেলের মধ্যে শুয়ে-বসে তা উপভোগ করা, আর দেখা কীভাবে রাত আটটার সময় ঝুপ করে সন্ধ্যে নামার সঙ্গে-সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং কিছু পরে দশটা-এগারোটার সময় আবার আবহাওয়া শান্ত হয়ে যাওয়া।
প্রকৃতির মাঝে এ এক অন্য লাদাখ—এর মাধ্যমে আমি তুলে ধরতে চেয়েছি কীভাবে কলকাতা থেকে বাইক নিয়ে হিমালয় এবং কারাকোরাম পর্বতের মাঝে হারিয়ে গিয়ে আবার কলকাতায় ফিরে আসার কাহিনি। প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটারের যাত্রাপথ। সময় ২২ দিন। সঙ্গী ১০ জন। সঙ্গে ৮টা বাইক। প্রতিটি মানুষের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে, যেমন লাদাখে যাওয়া মানে অনেক খরচ। লাদাখ মানে দুর্গম রাস্তা… অনেক গিরিপথ অতিক্রম করে যাওয়া। মোটরসাইকেল খারাপ হয়ে গেলে কী করব? অন্য কোন অসুবিধার মধ্যে পড়লে সাহায্য পাওয়া যায় কি না, এই প্ল্যান করলে সময় লাগবে কতদিন? বাইক না নিয়ে কীভাবে কম সময়ে লাদাখ ভ্রমণ করা যায়? হোটেল কীভাবে বুক করবো, কীভাবে থাকবো, কী খাব ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমি তিনবার লাদাখ গিয়েছি। প্রথমবার ২০১৮য়। আর পরের দু’বার ২০১৯ এবং ২০২২-এ। তার মধ্যে দু’বারবার বাইক (দু’টি ভিন্ন উপায়ে) এবং একবার ট্রেন-পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে। সত্যি কথা বলতে কি, লাদাখ কিংবা যে কোনও জায়গা ঘোরার জন্য খুব একটা টাকা-পয়সার দরকার হয় না। দরকার হয় শুধুমাত্র সময় আর নতুনকে দেখার ধৈর্য ও ইচ্ছা। আমি আমার লেখার মাধ্যমে বারবার এটাই বোঝাতে চাই যা হল, ৬০০০ কিলোমিটারই হোক আর ৫০০০০ কিলোমিটার… যে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে সে বাকিটাও পারবে। আর একটা কথা কী ধরনের বাইক হবে, কত সিসি হবে, তা কোনও অর্থ রাখে না। আমাদের গ্রুপে তিনজনেরই বাইক ছিল ১০০ সিসির কম। শুধু দরকার সময় আর নিয়ম মেনে বাইক চালানোর কৌশল। আর আমাদের দশজনের কত খরচা হয়েছিল জানেন? মাত্র ১৬ হাজার টাকা মাথাপিছু। তার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক বাইকের পেট্রল, থাকা-খাওয়ার মোট খরচ, সব বাইকের সার্ভিসিং এবং যাত্রাপথের দু’টো টোল প্লাজার (লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে) খরচ-সহ মোট ২২ দিনের যাত্রা। শুনে অবাক লাগছে, না অবাকের কিছু নেই তারই এক একটি বিবরণে যাত্রা পথ এই লেখার মাধ্যমে বর্ণনা করব। হ্যাঁ আমরা এভাবেই ভ্রমণ করি, প্রকৃতির মধ্যে থেকে, তাকে পরিষ্কার রেখে, তার কাছ থেকে সবটুকু নিয়ে তার এই রুদ্র রূপকে গ্রহণ করে এগিয়ে চলি।
আমি এখানে ২০১৮ এবং ২০২২ দু’টোর যাত্রাপথ নিয়েই কথা বলব। ২০২২ সালে লাদাখ গ্রুপে চারজন ছিল। একটি বাইকে আমি আর আমার স্ত্রী, অন্য একটি বাইকে উৎসব সিনহা এবং আরেকটি বাইকে দেবাশিস সাউ (দেবু)। দেবু প্রথমবার লাদাখ যাচ্ছে বলে সে ঠিক করল। আমাদের দু’দিন আগেই সে চাঁপাডাঙা থেকে বাইক চালিয়ে অমৃতসরে অপেক্ষা করবে। পথে সে বুদ্ধগয়া, আগ্রা এবং আরও কিছু জায়গা এক্সপ্লোর করে অমৃতসর পৌঁছবে। যথারীতি আমরাও হাওড়া থেকে অমৃতসর ট্রেনের টিকিট বুক করি। আমাদের বাইকও লাগেজ হিসাবে বুক করি, তাতে একটি বাইকের সরকারি হিসেবে খরচ হয় ২৮০০ টাকার মতো এবং দালালকে দিতে হয় আরও হাজার টাকা। তার কারণ সে দায়িত্ব নিয়ে বাইক ওই ট্রেনে তুলে দেবে। যথারীতি আমরা তিনজনে ট্রেনে উঠে পড়ি। একদিন পরে জানা যায় যে, আমাদের বাইক আমাদের সঙ্গে আসেনি। যথারীতি আমরা রেলমন্ত্রী এবং রেলের সহকারী কর্মীদের টুইট করে অভিযোগ জানাই। দু’দিন পরে আমাদের বাইক অমৃতসরে আসে। এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে হয়েছিল। কথায় আছে যা হয়, ভালর জন্যই হয়। আমাদের অমৃতসর ঢোকার আগেই দেবু ‘গুরু তেজ বাহাদুর নিবাস’ বুক করে রেখেছিল। এই নিবাসের ভাড়া ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। সঙ্গে এসি এবং অ্যাটাচড বাথরুম-সহ একটি বিশাল বড় ঘর। তিন দিন আমরা এখানেই ছিলাম। অতিরিক্ত দু’দিন সময় হাতে থাকায় আমরা অমৃতসর মন্দিরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ছিলাম, যা সত্যিই মন ভাল করে দেয়। আর ওই রাতের খাওয়া-দাওয়া ছিল এই গুরুদোয়ারাতেই। তারপরের দিন সকালে উঠে সাইট সিন সেরে বেরিয়ে পড়ি ওয়াগা বর্ডারের উদ্দেশে। বিকেলের অনুষ্ঠান দেখে আবারও ফিরে আসি আমাদের থাকার জায়গায়। সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েই আমরা ঠিক করলাম অমৃতসরে এসেছি, অথচ ‘কেশর দ্য ধাবা’য় খাব না তা আবার হয় নাকি। তাই এখানে খাওয়ার আগেই আবার কেনাকাটিও সেরে ফেললাম ঠিক তারই পাশে ফুলকারি আড্ডা তে… অমৃতসরের ফুলকারিতে আমরা চারজনই হারিয়ে গেলাম। পরের দিন খবর পেলাম আমাদের বাইক চলে এসেছে হাওড়া-অমৃতসর মেলে চেপে। তাই যাবতীয় কাজকর্ম সেরে একেবারেই তৈরি হয়ে সঙ্গে লাগেজপত্র নিয়ে রওনা দিলাম অমৃতসর স্টেশনের উদ্দেশে। পরে একটার মধ্যে গাড়িতে লাগেজপত্র বেঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম লাদাখের উদ্দেশে। এভাবেই আমাদের বাইকের যাত্রা শুরু হল ২০২২-এ… এবার আসি ২০১৮ এর যাত্রাপথে।
১৯ মে ২০১৮ সন্ধ্যেবেলার মধ্যেই আমি উদয়নারায়ণপুরে পৌঁছে যাই, কারণ ওখান থেকেই আমাদের লাদাখের পথে যাত্রা শুরু হবে। গ্রুপের নাম ‘ভিলেজ বাইকার’। কথা মতো টিমের সব সদস্যদের একসঙ্গে হতে একটু রাতই হয়ে গেল। তারপর ৬টি বাইকের মধ্যে গ্রুপের লাগেজ ভাগ করা হল সমানভাবে। আর দু’টো বাইকে যেহেতু পিলিয়ন রাইডার থাকবে, সেজন্য সেই দু’টো বাইকে লাগেজ কম দেওয়া হল। আর লাগেজ প্যাকিং কীভাবে করবেন, তা বলা আছে ‘মোটরসাইকেল ডায়েরির দ্বাদশ পর্বে’। আগে থেকে ঠিক ছিল কুড়ি তারিখ ভোর পাঁচটার মধ্যেই রওনা দেব। কিন্তু আগের দিন রাতে লাগেজ প্যাকিং করতে দেরি হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের আর ভোরবেলা বেরনো হল না।
তাই ২০ তারিখ ঠিক সকাল সাতটার সময় মহাদেবের নাম করে বাইক স্টার্ট দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে দেখি হাজারো লোক তাঁদের দৈনন্দিন কাজে বেরিয়ে গিয়েছেন এবং সূয্যিমামাও আমাদের কাছে এসে আলিঙ্গন করতে চাইছে। কিছুদূর গিয়ে একটি ভাল পেট্রোল পাম্প দেখে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকটি গাড়িতে আমরা তেল ভরে নিলাম এবং তার সঙ্গে চাকার হাওয়া চেক করে নিয়ে একটা অদ্ভুত আনন্দ এবং চাপা উত্তেজনার মধ্যে শুরু হল আমাদের যাত্রা। উদয়নারায়ণপুর থেকে তারকেশ্বর হয়ে আমরা এনএইচ২, অর্থাৎ দিল্লি রোড ধরলাম। কিছু যাওয়ার পরে এসে পৌঁছলাম শক্তিগড়ে। সেখানে আমরা সকালের খাবার লুচি-ঘুগনি আর শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচা খেয়ে পেটের খিদে মেটালাম। যেহেতু আমাদের একটু দেরি হয়ে গিয়েছে, তাই আর সময় নষ্ট না-করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম বর্ধমান শহরকে ডানদিকে ফেলে সোজা এগিয়ে গেলাম দুর্গাপুরের উদ্দেশে। মে মাসের দুপুরের রোদের তাপ, তার সঙ্গে আসানসোল-রানিগঞ্জের কয়লাখনি এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বুঝিয়ে দিচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের ব্যাটারি একদম ফুল। তাই পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটারিকে একটু ঠান্ডা করার জন্য ওআরএস মেশানো জল বারবার খেতে শুরু করলাম।
আজকের দিনের টার্গেট ছিল বারাণসী বর্ধমান থেকে প্রায় ৫৭৫ কিলোমিটারের রাস্তা। তাই ঠিক হল আজকের দুপুরে খাওয়াতে সময় নষ্ট না-করে ওআরএস, জল-বিস্কিট এবং আখের রস খেয়েই বাইক চালাতে হবে টার্গেটে পৌঁছনোর জন্য। সবাই ঠিক তাই-ই করলাম। সুন্দর লাইন করে একে-অপরকে ওভারটেক না-করে শুধু লুকিং গ্লাসে পিছনে ব্যক্তি এবং সামনের ব্যক্তিকে ফলো করে এগিয়ে যাও।
কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা ঝাড়খণ্ড এসে পৌঁছলাম। এই এলাকাটা মূলত মালভূমি অঞ্চল। দূরে ছোট-ছোট মেয়েরা টিলার মতো পাহাড় এবং পাহাড়ের উপরে এক-একটি মন্দির এবং চারপাশে ধূ-ধূ করা মাঠের মধ্যে দিয়ে জাম রঙের রাস্তা। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো গ্রাম এবং তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনবসতি আর দোকানপাট। ধানবাদ বাইপাস ধরে কিছুদূর যাওয়ার পর তোপচাঁচি থেকে ডান দিকে কিছু দূর এসেই পরেশনাথ পাহাড়। তারপর কিছুদূর গিয়ে যখন চৌপারনের পৌঁছলাম, তখন প্রায় বিকেল হয়ে গিয়েছে। শাল-মহুয়াঘেরা এই জঙ্গল এলাকাটা পেরতে সন্ধ্যে নেমে এল। দুপুরে না-খাওয়া এবং অনবরত বাইক চালানোর ফলে সবার চোখ-মুখের অবস্থা মোটেই ভাল না, ঠিক হল আজ এখানেই কাছাকাছি কোনও হোটেলে রাত কাটাতে হবে। সেই কারণে অল্পবিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেই বিহারের দোভীতে হাইওয়ের পাশে একটা ঘর পাওয়া গেল। বিহার ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রিত একটি গেস্ট হাউস-কাম হোটেল নাম ‘নীলাঞ্জনা’। মোটামুটি ১০০ টাকা পার হেড হিসাবে আমরা ডরমেটরি রুম নিয়ে নিলাম। আর রাতে ডাল-তড়কা এবং রুটির মাধ্যমে খিদে মিটিয়ে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে যখন ঘুমোতে গেলাম, তখন ঘড়িতে বাজে রাত দশটা।
আজ ২২ মে, আজকের প্ল্যান লখনউ। গতকাল পুরো দিনের জার্নিতে রাতের ঘুমটা বেশ ভালই হয়েছিল। তাই আজ দেরি না করে সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়লাম বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে। পথে আমরা ফেলে এলাম ঔরঙ্গাবাদ, সাসারামের মতো সুন্দর শহরকে। অনেকটা যাওয়ার পর সকাল ১০টা নাগাদ একটি হসপিটালের আমগাছের তলায় বসে আমরা আমাদের সকালের টিফিন, মানে ছাতু-চানাচুর, মুড়ি-শসা এবং পেঁয়াজ লঙ্কা দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে সেরে ফেললাম। ক্রমে যতই বেলা বাড়ছে, ততই বাড়ছে গরমের প্রকোপ। শুধু বারবার জল আর ওয়ারিস খেয়ে আমরা এগিয়ে চললাম বেনারসের উদ্দেশে। মাঝে একবার লস্যি এবং তরমুজ খেয়েই লাঞ্চ সারা হল। ন্যাশনাল হাইওয়েতে বাইক চালাতে খুবই মজা লাগে। শুধু সমস্যা একটাই, এখানে আপনি একটিও গাছ পাবেন না। ফলে না-চাইলেও আপনাকে বাইক চালাতে হবে। যতই লখনউয়ের দিকে যাচ্ছি, ততই লু-এর প্রভাব অনুভব করছি। বিকেল নামার আগেই পৌঁছে গেলাম এলাহাবাদ বাইপাসে। বাঁ দিকে বিশাল হোর্ডিংয়ে লেখা আছে লখনউ যাওয়ার এক্সটেনশন। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে আমরা ডান দিক নিয়ে সোজা এগিয়ে চললাম। এখান থেকে লখনউ এখনও ২০০ কিলোমিটারের রাস্তা। এরপর থেকে শুরু হল এলাহাবাদ লখনউ-স্টেট হাইওয়ে। আগের থেকে শুরু একটি লেনের রাস্তা। তাই গাড়ি চালাতে হয় একটু বুঝেসুঝেই। বাইকের মোবাইল হোল্ডারে রাখা মোবাইলের নেভিগেশন বলছে লখনউ পৌঁছতে-পৌঁছতে বাঁচবে রাত ১১টা। সেই মতো বাবলাদা (ভাইকিং গ্রুপের এক জনপ্রিয় মানুষ হলেন বাবলাদা, যাঁর সঙ্গে আমার আগে কখনও পরিচয় হয়নি কিন্তু এমন রাইডার নেই যে বাবলাদাকে চেনে না। ভাল নাম দেবাশিস কর)-কে সব জানিয়ে দিলাম। উনি থাকার ঠিকানা আমাদের পাঠিয়ে দিলেন। আর তার সঙ্গে ঠিক করে রেখেছেন বিরিয়ানি এবং তুন্ডে কাবাব। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম থাকার কারণে একটু দেরি হয়ে গেল আমাদের। তাই ‘আশ্রয়’ নামের গেস্টহাউসে পৌঁছতে প্রায় ১২টা বেজে গেল। এশিয়ার সবথেকে ধনী কলোনির বুকে মাত্র চারশো টাকায় গেস্ট হাউস, সঙ্গে কুলার। তারপর কোনও মতে রাইডিং জ্যাকেট এবং রাইডিং গিয়ার… সঙ্গে বাইক থেকে জিনিসপত্র রুমে নিয়ে এসে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম। খাওয়ার মাঝে এবং খাওয়া শেষ করে বাবলাদার সঙ্গে গল্প করতে-করতে ভিজে গেল রাত দু’টো।