Sittong: খরস্রোতা রিয়াং নদী বইছে শরগাছের বন দিয়ে, সিটংয়েই রয়েছে এই সাজানো উপত্যকা

North Bengal Tourism: প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত যোগীঘাট। কার্শি‌য়াং পাহাড় আর মংপুর পাহাড়কে যুক্ত করেছে এই যোগীঘাট। গ্রামের পাশ দিয়ে কুলকুল করে বয়ে চলেছে রিয়াং নদী। রিয়াং নদী এখানকার গর্ব‌।

Sittong: খরস্রোতা রিয়াং নদী বইছে শরগাছের বন দিয়ে, সিটংয়েই রয়েছে এই সাজানো উপত্যকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2023 | 10:45 AM

দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি সিটংয়েও আজকাল পর্যটকদের ভিড়। কাঞ্চনজঙ্ঘা, কমলালেবুর বাগানের টানে হাজার-হাজার পর্যটক আসেন সিটংয়ে। সিটং ওয়ান এবং টু—এই দু’ভাগে বিভক্ত। সিটং ওয়ানের সর্ব‌োচ্চ পাহাড়ের চূড়া হল থামদাঁড়া। আর সিটং টু-এর অন্যতম সেরা ঠিকানা হল যোগীঘাট। এখন সিটংকে কেন্দ্র করেও গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। তারই মধ্যে অন্যতম এই যোগীঘাট। সিটংয়ের নিচের দিকে অবস্থিত সবচেয়ে সুন্দর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর যোগীঘাট। বলা যেতে পারে এক সঙ্কীর্ণ উপত্যকা।

প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত যোগীঘাট। কার্শি‌য়াং পাহাড় আর মংপুর পাহাড়কে যুক্ত করেছে এই যোগীঘাট। গ্রামের পাশ দিয়ে কুলকুল করে বয়ে চলেছে রিয়াং নদী। রিয়াং নদী এখানকার গর্ব‌। নদীর উপরে রয়েছে একটা সেতু। তাই সিটংয়ের উপর থেকে যোগীঘাটকে দেখলে উপত্যকার মতো দেখায়।

পাহাড়ের উপরে ধাপে-ধাপে চাষজমি। তার সঙ্গে রয়েছে কমলালেবুর বাগান। এছাড়া রয়েছে মংপুর পাহাড়ের সিঙ্ক‌োনা গাছের চাষ। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে সিঙ্ক‌োনার চাষ হয়। কিন্তু যোগীঘাটের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে ফুলঝাড়ু ও শরগাছের বন। রিয়াং নদীর পাশাপাশি সবুজে ঘেরা জঙ্গল যোগীঘাটের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বছরের যে কোনও সময় ভিড় করা যায় যোগীঘাটে। যোগীঘাট একটু নিচের দিকে, নদীর কাছে সমতল। তাই উচ্চতা নিয়ে যাঁদের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও যেতে পারেন যোগীঘাটে। ভরা বর্ষায় আরও সবুজে ভরে ওঠে রিয়াংয়ের দু’পাশ। পাথরে ধাক্কা খেয়ে বয়ে চলে খরস্রোতা রিয়াং। এই নদীর পাশে বসেই কেটে যাবে অনেকটা সময়। শীতকালে এই রিয়াংয়ের তীরে পিকনিকের আয়জন করতে পারেন। হাতে কম দিনের ছুটিতেও ঘুরে আসতে পারেন যোগীঘাট।

যোগীঘাটে হাতে গোনা কয়েকটা বসত বাড়ি রয়েছে। সেতুর পাশে বসতি গড়ে উঠেছে যোগীঘাটে। সেখানেই থাকার জন্য হোম স্টে পেয়ে যাবেন। এছাড়া সিটংয়ের যে কোনও জায়গায় রাত কাটানোর জন্য হোম স্টে সুবিধা রয়েছে। সেখান থেকেই আপনি ঘুরে নিতে পারেন যোগীঘাট।

নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হবে যোগীঘাট। দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। তবে, দুটো রাস্তা ধরে যাওয়া যায় যোগীঘাট। প্রথমটা সেবক হয়ে রম্ভি, মংপু ও লাবদা ঘুরে পৌঁছানো যায় যোগীঘাট। আরেকটা রাস্তা হল রোহিনী কার্শি‌য়াং হয়ে দিলারাম দিয়ে যোগীঘাট। কার্শি‌য়াং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটারের পথ যোগীঘাট। তাই কার্শি‌য়াং বেড়াতে গেলেও ঘুরে দেখতে পারেন এই পাহাড়ি জনপদ।