পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের শেষ দিনে ভাঙড় হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফাটছে। জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি আর দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনেও অশান্ত ভাঙড়। কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেরাচ্ছে ভাঙড়ে। এক আইএসএফ কর্মীর মাথায় গুলি লেগেছে।
যে দৃশ্য ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়, তাতে পুলিশ কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী করবে, বুঝে উঠতে পারছেন না পুলিশকর্মীরা।
পুলিশি টহল। ফাইল ছবি।
মনোনয়নের শেষ দিনে ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফ-এর সংঘর্ষ সামাল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশও ছিল না প্রথমে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও অ্যাডিশনাল এসপি জানিয়েছেন, 'আমরা অনেক বড় ফোর্স নিয়ে আছি।'
কিন্তু পুলিশ যে জায়গায় রয়েছে, সেখান থেকে কোনও দুষ্কৃতীকেই দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা। অ্যাডিশনাল এসপিকেও বলতে শোনা গেল, 'আমরা কোনও দুষ্কৃতীকে দেখতে পাচ্ছি না।'
এদিকে এদিন সকাল থেকেই ভাঙড়ের পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আজ সকালে সিপিএম প্রার্থীদেরও মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বামদের মনোনয়নে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সময় যত গড়িয়েছে, তত তপ্ত হয়েছে ভাঙড়ের পরিস্থিতি। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দাউ দাউ করে জ্বলছে অশান্তির আগুন।
সকাল থেকেই বিডিও অফিসের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল তৃণমূল। মনোনয়নের শেষ দিনেও সকাল থেকেই বোমাবাজির অভিযোগ। লাঠি-সোটা, পতাকা হাতে বিডিও অফিসের বাইরে জমায়েতের চেষ্টা করছিল তৃণমূল।