ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একের পর এক কামরা উল্টে পড়ে রয়েছে রেললাইনের ধারে। লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে একাধিক কামরা।
ট্রেনের ভিতরের যে চিত্র ধরা দেখা গিয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট দুর্ঘটনার অভিঘাত কতটা তীব্র ছিল। ট্রেনের বার্থগুলি ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে। তছনছ অবস্থা কামরাগুলির ভিতরে।
ট্রেনের দুটি কামরার সংযোগস্থলেও বিধ্বস্ত অবস্থা। ট্রেনের ভিতরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন সামগ্রী। প্যান্ট্রি কারের ভিতরেও যে সব খাবার-দাবার ছিল, সেগুলিও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের যে পরিস্থিতি, তাতে কোন কামরাটি কোন ট্রেনের তা বোঝা মুশকিল। কোনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরা, কোনটি যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের কামরা তা বোঝা যাচ্ছে না। একটি ট্রেনের কামরার উপর অন্য ট্রেনের কামরা পড়ে রয়েছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ট্রেনের ভিতরে আটকে থাকা জীবিত যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বায়ুসেনার জওয়ানরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর জন্য এগিয়ে এসেছেন।
রেললাইনের উপর পুরোপুরি উল্টে পড়ে রয়েছে ট্রেনের কামরাগুলি। বেশ কিছু বগি রেললাইন থেকে ছিটকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ে রয়েছে। গ্যাসকাটার ব্যবহার করে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় একশোটির কাছাকাছি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আহতদের উদ্ধার করে গোপালপুর ও বালেশ্বরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলা থেকেও একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।