ওজন কমাতে হলে রোজ যেমন নিয়ম করে ঘাম ঝরাতে হবে তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হল ডায়েট। ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। লোভে পড়ে বেশি খেয়েই স্বাস্থ্যের বারোটা বাজে। এর ফলে বেশি খাবারও খাওয়া হয়।
আমাদের দেশে যে পরিমাণ স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায় তা আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। ফুচকাআলুকাবলি, ঘুগনি থেকে শুরু করে চপ, কাটলেট মোমো। এই সব খাবারের মধ্যেই যথেষ্ঠ তেল থাকে।
ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার খেলে সেখান থেকে শরীর খারাপ হতেই পারে। হজমের সমস্যা হয়, গ্যাস-অম্বল হয়ে যায়। এতে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যায় অনেকখানি। এসব খাবার বেশি খাওয় হলে ভুঁড়ি বাড়ে, পেটে মেদের পরত পড়ে।
সস্তার স্ট্রিট ফুড হিসেবে অনেকেরই পছন্দ ফুচকা। ১০ টাকার বিনিময়ে যে চার-পাঁচট ফুচকা পাওয়া যায় তা খেয়ে পেট-মন দুই ভরে যায়। তবে ফুচকার মধ্যেও ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। রোজ খেলে ওজন বাড়বেই।
প্রথমত ফুচকা ছাঁকা তেলে ভাজা হয়, পুর হিসেবে আলু ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বার্গার, পিৎজা কিংবা রোলের মধ্যে যে পরিমাণ ক্যালোরি থাকে বাজার চলতি ফুচকাতেও কোনও অংশে তার থেকে কম থাকে না।
তবে বাড়িতে ফুচকা এভাবে বানিয়ে নিতে পারলে স্বাদ মিটবে আর খেতেও ভাল হবে। এমন ভাবে ফুচকা বানিয়ে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে। সুজি দিয়ে বানানো হয় ফুচকা। এবার তা বেলে নিয়ে ওভেনে বেক করে নিতে পারেন বা এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিতে পারেন।
আলুর বদলে সেদ্ধ ছোলা, মটর দিয়ে পুর বানান। এর সঙ্গে লেবুর রস, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা, নুন, মশলা, জিরে গুঁড়ো, রক সল্ট দিয়ে ভাল করে মেখে বানিয়ে নিতে পারেন। ওতে ক্যালোরিও কমবে আর স্বাস্থ্যকরও।
টকজল বানান তেঁতুল বা গন্ধরাজ লেবু ব্যবহার করে। এই টক জলের মধ্যে বিভিন্ন মশলা, নুন এসব দিতে ভুলবেন না। এতে খেতে ভাল লাগবে সেই সঙ্গে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করবে। জ্বরের মুখে এমবন ফুচকা স্বাদ ফেরাতেও সাহায্য করবে।