শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘুম। ঘুম কম হলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া একাধিক সমস্যা হতে পারে।
আর এই ঘুমেরই এখন আকাল। রাত বাড়ে কিন্তু কিছুতেই দু চোখে ঘুম আসে না।
অধিকাংশই এখন ইনসমনিয়ার সমস্যায় ভুগছেন। সারা রাত জেগে দুপুরে ঘুমোন। রাতের ঘুম কিছুতেই দুপুরে হয় না, এতে ঘুমের ঘাটতি থেকেই যায়।
সারাদিনের অতিরিক্ত চাপ, মদ্যপান, ধূমপান, বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া এসবের ফলে ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে।
বয়স ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকটাই বেড়ে যায় ঘুমের গুরুত্ব। ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পর যাঁরা ৫ ঘণ্টা কিংবা তার কম ঘুমোন, তাঁদের দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি, বলছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
সম্প্রতি ব্রিটেনে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানেই দেখা যায় ৫০ এর পর অধিকাংশদের শরীরে জাঁকিয়ে বসেছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। ৫০ বছরের আগে তাদের কারোর কোনও রকম শারীরিক সমস্যা ছিল না।
গবেষণায় উঠে এসেছে যাঁরা রোজ রাতে ৫ ঘণ্টার কম ঘুমোন তাঁদের কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। বয়স যখন ৭০ হয় তখন এই ঝুঁকি ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বলতে ডায়াবিটিস, ক্যানসার, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, স্মৃতিভ্রংশ, বাত, পারকিনসন্স এবং মানসিক অবসাদকে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা